ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তার ঠিক আগে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে ইছামতী নদীর বাঁধে নামল ধস। ঘূর্ণিঝড়ের ঠিক আগে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গ্রামের মানুষই বাঁধ মেরামতিতে নেমেছেন। গলাজলে দাঁড়িয়ে চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ।
সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা, চলছে বৃষ্টি। মাঝমধ্যেই বৃষ্টির গতি বাড়ছে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া। এই পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই ইছামতীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে হাসনাবাদের আংনারায় নদীবাঁধে ধস নামে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যে, বাড়তি জলস্তরের চাপ সরাসরি এসে পড়েছে নদীর বাঁধের উপর। দুর্বল নদীবাঁধ সেই ভার সইতে না পেরে ধসে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, আংনারায় প্রায় ৫০ ফুট বাঁধ ধসে যাওয়ার পথে। বাঁধ ভাঙছে এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। প্রশাসনের ভরসায় না থেকে গ্রামবাসীরা নিজেরাই নেমে পড়েন বাঁধ মেরামত করতে। নিজেদের ঘর থেকে ত্রিপল, বাঁশ, ইট দিয়ে বাঁধ সারাইয়ের কাজ চলছে জোরকদমে।
এ দিকে, হাসনাবাদেরই বরুণহাটে ইছামতীর বাঁধ ভেঙে জল ঢোকা শুরু হয়েছে গ্রামে। এর জেরে বরুণহাট, শিরীষতলা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে জল ঢোকার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, আয়লার সময়ও এই অংশের নদীবাঁধ ভেঙে গ্রাম ভেসে গিয়েছিল। এ বার ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে থাকায় চিন্তা বেড়েছে গ্রামবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, বাঁধ ভাঙার খবর জানার পরেও প্রশাসনের কেউ এলাকায় এসে পরিস্থিতি জরিপ করেননি।