• LIVE: ৭৪ কিলোমিটার বেগে কলকাতায় তাণ্ডব রিমালের, সুন্দরবনের কাছে উপকূলে ল্যান্ডফল
    আজ তক | ২৭ মে ২০২৪
  • Cyclone Remal Live Updates: বাংলাদেশ উপকূল এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া  মোটামুটি চার ঘণ্টা ধরে চলেছে। আর সেইসময় বাংলাদেশের যেখানে ল্যান্ডফল, সেখানে ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গের দুটি জেলায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিমি বেগে ঝড় উঠেছিল।

    ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা

    রিমালের প্রভাবে ব্যাহত কলকাতার মেট্রো পরিষেবা। পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেডে ট্র্যাকে জল জমে থাকার কারণে ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা, দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশপার্ক অবধি চলছে ট্রেন। অন্যদিকে কবি সুভাষ থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার অবধি চলছে ট্রেন। ট্র্যাক থেকে জল সরানোর চেষ্টা চলছে। 

    ঘূর্ণিঝড় রিমেল ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে
    সোমবার সকালে এর গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই রয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ৷ প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ থাকবে ৭০ কিলোমিটার। আজ, সোমবার বিকেলের মধ্যেই এটি সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে ৷ ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা তখন গতিবেগ থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর ৷ আজ, সোমবার রাতেই আরও শক্তি হারিয়ে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ হবে রিমলের। এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহের কাছাকাছি দিয়ে এটি পৌঁছে যাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে।

    জলমগ্ন রেসকোর্স

     

    কলকাতা পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর

    কলকাতা পুলিশ জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে জারি করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও।

     

    দুর্বল হচ্ছে রিমাল

    আইএমডি অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল কিছু সময়ের জন্য প্রায় উত্তর দিকে অগ্রসর হবে এবং তারপর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে...

     

    ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে
    ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে, প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' বাংলাদেশের উপকূল এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেআছড়ে পড়ে। এর জেরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বাড়িঘর ও কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের মংলার দক্ষিণ-পশ্চিমে সাগর দ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সংলগ্ন উপকূলে রোববার রাত সাড়ে ৮টায় ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়।

    রিমালের দুর্যোগ চলবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত
    সোমবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। তার প্রভাবে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে। কিছু কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে অবরুদ্ধ রাস্তাঘাট। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা ও পাশের জেলাগুলিতে দুর্যোগ চলবে।

    আজ এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি
     রিমালের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে সোমবার সকাল থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। এ ছাড়া ভারী থেকে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং হাওড়াতে। দক্ষিণ বঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। রিমালের প্রভাব শুধু দক্ষিণবঙ্গে নয়, উত্তরবঙ্গেও পড়বে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়িতে জারি করা হয়েছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা।

     গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ
    শহরে দুর্যোগের মধ্যেই মল্লিকবাজারে গাছ ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ায়  আলিপুরের কয়েকটি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কলকাতা পুরসভার কর্মীরা তা সরানোর কাজ শুরু করেছেন। শরৎ বোস রোডের একটি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।

     কলকাতায় ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে বইল ঝোড়ো হাওয়া
    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাত ১২টা নাগাদ রেমালের ল্যান্ডফল শেষ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কলকাতায় ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে বইল ঝোড়ো হাওয়া। 

    বাংলাদেশেও রিমালের তাণ্ডব
    উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। বাংলাদেশের বাগেরহাটের মোংলা ও পটুয়াখালীর খেপুপড়া এবং পশ্চিমবঙ্গে টানা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে রিমাল দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠেছে। বাংলাদেশে বিশেষ করে মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রিমাল। রেমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কলাপাড়া, খেপুপাড়া ও কুয়াকাটায়। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিষখালি-সন্ধ্যা, পায়রা, আন্ধারমানিক, গলাচিপা ও তেতুলিয়া নদীর উপচে পড়া পানিতে বরগুনা ও পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অনেক জেলায় গুড়ি গুড়ি থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।   টানা ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠেছে। সকাল নাগাদ এটি দুর্বল হয়ে যাবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে সোমবার ও মঙ্গলবারও  থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
  • Link to this news (আজ তক)