• ভয়ংকর 'রিমালে'র তাণ্ডবে ৪ জনের মৃত্যু! প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা, বিপুল ক্ষয়ক্ষতি...
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট 'রিমাল' ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার রাত ৮টা নাগাদ উপকূলে আঘাত করেছে। ঝড়ের প্রভাবে গতকাল, রবিবার থেকে আজ, সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত পটুয়াখালি, সাতক্ষীরা, ভোলা, চট্টগ্রাম মিলিয়ে মোট ৪ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    রবিবার সন্ধেতেই বাংলাদেশের উপকূলে যথারীতি আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং সকাল ৯টা পর্যন্ত দু'জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনের মারফত। বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎহীনও হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজনকে সাহায্য করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্রের অংশটি রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাগেরহাটের মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পটুয়াখালির খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। সেই সময়ে এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার। আবহাওয়াবিদদের তরফে জানা গিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়টির ব্যাস অনেক বড়, প্রায় ৪০০ কিলোমিটার! ফলে এটা স্থলভাগ অতিক্রম করতে সময় বেশি নিচ্ছে। যদিও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টির ল্যান্ডফল হয়েছে বলে জানান তাঁরা।বহু নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রামের কিছু এলাকা-সহ অন্য অঞ্চলে পাহাড়ে ধস নামার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। রিমালের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে উপকূলজুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সাতক্ষীরা এবং পটুয়াখালিতে একজন করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নাপিতখালি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে এক বৃদ্ধেরও মৃত্যু হয়।অন্য দিকে, অন্যদের সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময়ে পটুয়াখালির কলাপাড়ার ধলাসার ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামে প্রবল স্রোতে খালে ভেসে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, ভোলা, খুলনা সহ বিভিন্ন জেলায় জোয়ারের প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু অঞ্চলে নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে।  অনেক জায়গা তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে বিদুতের তারের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)