• মহাকীর্তিতে প্রথম দেশের বাঙালি মেয়ে, অস্ত্রোপচার, নির্বাসনের পরেও ভল্ট রানির ইতিহাস
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের স্টার জিমন্য়াস্ট দীপা কর্মকার (Dipa Karmakar) যা করলেন, তা জানার পর বলতেই হবে, এভাবেও ফিরে আসা যায়! আগরতলার বঙ্গকন্যা আর ইতিহাস যে সমার্থক। প্রথম ভারতীয় হিসাবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (Women’s Asian Championships) সোনা জিতলেন দীপা। গত রবিবার উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্তে ইতিহাস লিখেছেন পড়শি রাজ্য়ের বছর তিরিশের মেয়ে। জিমন্য়াস্টিক্সের ভল্ট ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দীপা শ্রেষ্ঠত্বের পদক ছিনিয়ে এনেছেন সব মিলিয়ে ১৩.৫৬৬ স্কোর করে। উত্তর কোরিয়ার কিম সন হ্যাং (১৩.৪৬৬ স্কোর করে রুপো) ও জো কিয়ং বিয়লকে (১২.৯৬৬ স্কোর করে ব্রোঞ্জ) হারিয়ে দীপার এসেছে সোনা। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পদক পেলেন দীপা। ২০১৫ সালে হিরোশিমায় তাঁর ছিল ব্রোঞ্জ। ৯ বছর পর নিজেকেই ছাপিয়ে গেলেন দীপা। দীপা ছাড়াও ভারতীয়দের মধ্য়ে আশিস কুমার (ফ্লোর এক্সরাসাইজের ব্রোঞ্জ, সুরাত ২০০৬), প্রণতি নায়েক ( ভল্টে জোড়া ব্রোঞ্জ, উলানবাটার ২০১৯, দোহা ২০২২) এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতেছেন। তবে আজ পর্যন্ত কেউই সোনা পাননি। দীপাই দেশের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে সেই নজির গড়ে দেখালেন। দীপা, নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক্স। প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট হিসেবে অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সেবার। মহিলাদের ভল্ট ইভেন্টে প্রোদুনোভা ভোল্টে সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও অল্পের জন্য় পোডিয়াম ফিনিশ করতে পারেননি ব্রাজিলে। দীপা শেষ করেছিলেন চতুর্থ স্থানে। 

     

    রিও অলিম্পিক্সের পর টোকিও অলিম্পিক্স আসতে চলল। মাঝখানে দীপা কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন। ডোপ টেস্টে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২১ মাস নির্বাসনের আঁধারে ছিলেন তিনি। নির্বাসন ও ঠিক সময়ে নাম না পাঠানোর কারণে দীপার প্য়ারিসে যাওয়া হবে না। এই দুঃখের মধ্য়েও দীপার কাছে এশীয় পদক নিঃসন্দেহে অক্সিজেনের মতো। ইতিহাস লিখে দীপা বলছেন, 'আমি বোঝাতে পারব না যে, কত খুশি হয়েছি। অস্ত্রোপচার ও নির্বাসন কাটিয়ে এই পারফরম্য়ান্স। ভারতের আর কোনও জিমন্য়াস্ট অতীতে করতে পারেনি। এই পদক অবশ্য়ই স্পেশ্য়াল। আমি অবশ্য়ই ধন্য়বাদ জানাব আমার কোচ বিশ্বেস্বর নন্দী স্য়রকে। কঠিন সময়ে তিনি আমার সঙ্গে ছিলেন।' দীপা আবার আগুন জ্বালুক। এমনটাই চান সকল বাঙালি ও ভারতীয়। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)