জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন এলাকা, কতক্ষণে নামবে জল; জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
২৪ ঘন্টা | ২৭ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় রিমালের দাপটে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে, কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও তার থেকেও বেশি জল জমে গিয়েছে। ক্রিস্টোফার রোড, পার্ক সার্কাস, এক্সাইড মোড় এলাকায়। জল জমেছে কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়াতেও। গাছ পড়ার খবর মিলেছে শরৎ বোস রোড, কালীঘাট ও সল্টলেক এলাকা থেকে। মাথায় কার্নিংশ ভেঙে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কলকাতার আলিপুরে। আজও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়। সঙ্গে ঝোড়ো যাওয়ার দাপট থাকবে দিনভর। এখন জমা জল সরবে কবে? এনিয়ে পুরসভার উদ্যোগের কথা খোলসা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
দুর্যোগে উদ্ধারকাজ সম্পর্কে জি ২৪ ঘণ্টাকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, গত ৩-৪ ধরে আধিকারিকদের নিয়ে মিটিং করেছি। এভাবেই গতকাল ও আজকে মোট ১৪ হাজার কর্মীকে কাজে নামিয়েছি। পাম্পিং স্টেশনগুলো চালিয়েছি। নীচু এলাকাগুলিতে জল জমে রয়েছে। আবার এখন জোয়ার চলছে। ভাঁটা এসে গেলে আশা করা যায় তিনটে-চারটে সময়ে বা সন্ধের সময়ে বেশিরভাগ জায়গা থেকে জল বেরিয়ে যাবে। আমার কাছে যে হিসেব আছে তাতে একশোরও বেশি গাছ পড়েছে। সেইসব গাছ সঙ্গে সঙ্গেই কেটে ফেলা হয়েছে যাতে যান চলাচলে কোনও বাধা না হয়। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে , অনেক জায়গায় জল জমে আছে। তবে আশা করছি সন্ধের মধ্যে এটা স্বাভাবিক করে দিতে পারব। গতকাল সারারাত ধরে চেষ্টা করে এটা হয়েছে। গতকাল আমার সঙ্গে তারক সিং ছিলেন, দেবাশিষ কোনার ছিলেন। যেখানে গাছ কাটার সমস্যা হয়েছে ওরা দৌড়ে গিয়েছে। পাম্পিং স্টেশনগুলিতে গিয়েছে। সুতরাং একটা টিম করে কলকাতাকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।কলকাতাতেও বৃষ্টি চলছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের দাপটে কলকাতা ব্যাপক বৃষ্টি চলবে বলে আগে থেকেই পূর্বাভাস ছিল। ইতিমধ্যেই রিমালের দাপটে কলকাতায় বাড়ি ভেঙে আহত হয়েছেন ১ জন। পাশাপাশি মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কিছু কিছু জায়গায় গাছ পড়ে গিয়েছে। গাছ কেটে রাস্তা পরিস্কার করা হচ্ছে যুদ্ধকালীন তত্পরতায়। এখনও কোথাও জল জমেনি। কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এমনটাই জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিপজ্জনক বাড়িগুলি নিয়েই বেশি চিন্তা বলে জানান তিনি। বাড়ি ভেঙে আহত ব্যক্তিকে এনআরএস-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান মেয়র। তাঁর কপালে চোট লেগেছে।