• সতর্ক জেলা, ভবঘুরেদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে
    আনন্দবাজার | ২৮ মে ২০২৪
  • মুর্শিদাবাদে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর প্রভাব সরাসরি পড়বে না। তবে রবি ও সোমবার জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এ নিয়ে সতর্ক প্রশাসন। কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। খোলা আকাশ, গাছতলায় রাত কাটানো ভবঘুরেদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার ব্যবস্থা তৈরি। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘প্রয়োজনে দূর্যোগের সময় ভবঘুরেদের নিরাপদ আশ্রয় তুলে আনা হবে।’’ বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরের জেলা আধিকারিক কমল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভবঘুরেদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য বিডিও-দের বলা হয়েছে।’’

    ‘রেমাল’ নিয়ে সতর্ক জেলা প্রশাসন। জেলা সদর বহরমপুরের পাশাপাশি মহকুমা সদর ও ব্লকগুলিতে শুক্রবার থেকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। চারদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এই সময়ে কৃষকদের ঘর ছেড়ে মাঠে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে যাতে তাঁরা মাছ ধরতে এই সময়ে না যান। সাধারণ মানুষেরও ঝড়ের সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। তবে বছরভর যারা খোলা আকাশের নীচে, গাছতলা, স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ডে রাত কাটান, তাঁদের অনেকে মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। তাঁরা নিজে থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারবেন না কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যায়।

    প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ভবঘুরেরা মূলত শহরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ান। জেলা সদর বহরমপুর ছাড়া, বেলডাঙা, মুর্শিদাবাদ, আজিমগঞ্জ-জিয়াগঞ্জ, জঙ্গিপুর, কান্দি, ধুলিয়ান, ডোমকল পুরসভা এলাকা। তেমনই লালগোলা, সালার, ফরাক্কার মতো বেশ কিছু রেলস্টশন রয়েছে। সে সব এলাকাতেও ভবঘুরেদের দেখা যায়। দুর্যোগের সময়ে ভবঘুরেদের যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে আনা যায়, তা দেখা হচ্ছে।

    জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘শুধু ভবঘুরে নয়, বাড়ি জীর্ণ হয়ে পড়েছে এমন কেউ চাইলেও তাঁদের আমরা নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসার ব্যবস্থা রেখেছি। পুরসভার কর্মীরা সব সময় প্রস্তুত।’’ তাঁর দাবি, ‘‘জিয়াগঞ্জ শহরে ভবঘুরেদের জন্য আবাস করা হয়েছে। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বেশ কয়েক বার ভবঘুরেদের তুলে এনে রেখেছিলাম। কিন্তু সেখানে তাঁরা থাকতে চান না।’’ বহরমপুরের পুরপ্রধান নাডুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিল্পতালুকে ভবঘুরেদের আবাসে ৩০ জন বরাবর রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রয়োজনে শহরে অন্য ভবঘুরেদেরও তুলে আনা হবে।’’ বহরমপুরের পুরপ্রধান পারিষদ সদস্য জয়ন্ত প্রামাণিক বলেন, ‘‘ভাগীরথীর তীরে বসবাসকারী দুঃস্থদের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি। শুধু ভবঘুরে এবং যাঁদের বাড়িঘর মজবুত নয়, তাঁদের প্রয়োজন মতো নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)