• জনবহুল এলাকায় ভাগাড়, পানিহাটি পুরসভাকে নোটিস
    আনন্দবাজার | ২৮ মে ২০২৪
  • ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যেই ভাগাড়। তা থেকে দূষণের ফলে স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে স্থানীয় লোকজনের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাস করাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পানিহাটি পুরসভা এলাকার রামচন্দ্রপুরে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতে। সোমবার যার শুনানিতে পানিহাটি পুরসভাকে নোটিস দিয়েছে আদালত।

    একই সঙ্গে পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসকের অফিস এবং পানিহাটি পুরসভার প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি বিশেষ দলও গড়ে দিয়েছে তারা। সেই দলকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই মামলায় পানিহাটি পুরসভা ছাড়াও যুক্ত করা হয়েছে রাজ্য সরকার, রাজ্য পরিবেশ দফতর, রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতর, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা), কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ-সহ একাধিক পক্ষকে।

    যদিও পানিহাটি পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, ওই এলাকায় ভাগাড়টি দীর্ঘ বছর ধরে রয়েছে। ভাগাড় এলাকায় পরবর্তী কালে জমি কিনে মানুষ থাকতে শুরু করেন। যে নাগরিক সংগঠন মামলা করেছে, তারা অতীতে একাধিক বার ভাগাড়টি সরানোর আবেদন জানিয়েছে পুর প্রশাসনের কাছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার পুরপ্রতিনিধি সম্রাট চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮ সালে ভাগাড়টি স্থানান্তরের চেষ্টা করেছিলেন। নতুন জায়গায় শিলান্যাসও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোভিড সংক্রমণ ও পরবর্তী কালে ঘটনাপ্রবাহের জটিলতায় পুরো প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। সম্রাটের কথায়, ‘‘রামচন্দ্রপুরের ভাগাড়ই একমাত্র ভাগাড় পানিহাটি পুরসভার। নতুন যে জায়গায় ভাগাড়টি সরানোর চেষ্টা হচ্ছিল, সেখানকার মানুষজন আপত্তি করছেন। ফলে, অবিলম্বে ভাগাড় সরানো যাচ্ছে না।’’

    পরিবেশ আদালত অবশ্য পুরো বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে। সেই সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের অফিসকে নোডাল অফিস করা হয়েছে সরেজমিনে পরিদর্শনের পরে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ অগস্ট।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)