সোমবার সকালে মেমারি থানার কলানবগ্রামের কোঙারপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝড়ে ভেঙে পড়া কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে আসতেই মৃত্যু হয় ফড়ে সিংহ (৬৪) এবং তাঁর ছেলে তরুণ সিংহের (৩০)। মৃত ফড়ের ভাইপো বাপন সিংহ বলেন, ‘‘রেমালের তাণ্ডবে ভেঙে যাওয়া কলাগাছ কাটতে গিয়ে প্রথমে ফড়ে বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে চলে আসেন। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।’’
দু’জনকে ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়েরাই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমে বড়শুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে রাস্তাতেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা বাবা এবং ছেলে— দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী সৈকত মালিক বলেন, ‘‘ঝড়ের তাণ্ডবে বাড়ির বিদ্যুৎবাহী তারের উপর কলাগাছ ভেঙে পড়েছিল। সেই কলাগাছ কাটতে গিয়েই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে তাঁদের দেহ। বাবা-ছেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
এই নিয়ে রাজ্যে রেমালের প্রভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার। রবিবার রাতে ঝড় চলাকালীন কলকাতার এন্টালিতে বাড়ির কার্নিস ভেঙে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও সোমবার সকালে মৌসুনি দ্বীপে এক বৃদ্ধার মাথায় গাছ ভেঙে পড়ে। ঘরে বসেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।