সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা আকাশ। ঘ্যানঘেনে বৃষ্টি। কিন্তু অফিস তো যেতেই হবে। সপ্তাহের প্রথম দিন বলে কথা। কিন্তু বেরোবেন কী ভাবে? মেট্রো পরিষেবায় বিঘ্ন। হাতেগোনা কয়েকটি বাস চলছে। কিন্তু হাঁটু পর্যন্ত ট্রাউজ়ার্স গুটিয়ে অফিসের ব্যাগ, কাঁধে ছাতা নিয়ে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে যেতে তো ভিজে একাকার। অগত্যা মোবাইল ফোনটা খুলে অ্যাপ ক্যাব দেখা। কিন্তু ভাড়া দেখে চোখ কপালে। যাদবপুর থেকে ধর্মতলার অফিসপাড়া ৬০০ টাকা! মাসের শেষ। খানিক ভেবেচিন্তে যদিও বা তেতোমুখে গাড়ি বুক করা গেল, গাড়ির দেখা নেই! ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলকাতার পরিস্থিতি ছিল এমনই। সকলের অভিজ্ঞতা মোটামুটি একই। কয়েক দিন টানা বৃষ্টিতে কলকাতাবাসীকে যে সব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তা এক দিনের মধ্যে দেখিয়ে দিল রেমাল।
ল্যান্ডফলের পর কয়েক ঘণ্টা টানা বর্ষণ হয়েছে কলকাতায়। সোমবার অফিসযাত্রী থেকে দোকানদার, রোগী থেকে রোগীর আত্মীয়— সবাইকে একই বিপদে জেরবার হতে হল দিনভর। কাজের সূত্রে কলকাতা আসতে গিয়ে সমান দুর্ভোগের মুখে পড়তে হল আশপাশের জেলার মানুষকে। তার মধ্যে ঝড়ে কার্নিস ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন শহরের এক নাগরিক।
একের পর এক লাইনে গাছ পড়ে ট্রেন বন্ধ ছিল। পুরোপুরি বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল। আপ ও ডাউন কোনও লাইনেই ট্রেন চলেনি। আর বাড়ি থেকে বেরিয়ে অটো ধরে যাওয়ারও জো ছিল না বহু এলাকায়। এই সময়ে যাতায়াতের সবচেয়ে নির্ভরতার জায়গা মেট্রো। কিন্তু সোমবার সেই পরিষেবাতেও বাধা পেয়ে কার্যত নাকাল হতে হয়েছে। রাস্তায়-রাস্তায় জমা জল ঠেঙিয়ে এবং ডিঙিয়ে কোনও ভাবে কর্মক্ষেত্রে যেতে হয়েছে। ফিরতেও হয়েছে সেই জলযন্ত্রণা নিয়েই। সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুজল। খিদিরপুর সংলগ্ন কলকাতা বন্দর এলাকার হাইড রোডে জলে থৈ থৈ। বেহালা থেকে পাঠকপাড়া, ঠনঠনিয়া থেকে বাঁশদ্রোণী, কারও বাড়িতে জল ঢুকেছে। কোথাও গাছ পড়ে বন্ধ হয়েছে রাস্তা। জল পেরিয়ে তার মধ্যেই অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজে যেতে হয়েছে। রেমালের সৌজন্যে সোমবার যন্ত্রণাময় দিন কাটাল কলকাতা।
অফিস এবং স্কুলের সময়ে বড় নির্ভরতার জায়গা পাতাল রেল। কিন্তু সোমবার কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা দফায় দফায় বাধা পেয়েছে ঝড়বৃষ্টির কারণে।
রেমাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে, এমন সতর্কবার্তা আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তাই কলকাতা মেট্রোর সমস্ত স্টেশনের সুপার এবং শিফ্ট ইন-চার্জকে রবিবারই স্টেশনে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার অনেক আগেই ব্যাহত পরিষেবা। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট পর্যন্ত নিউ গড়িয়া সংলগ্ন কবি সুভাষ থেকে টালিগঞ্জ সংলগ্ন মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। কারণ, দুপুরের দিকে গড়িয়া সংলগ্ন কবি নজরুল স্টেশনে ভাঙা শেডের একাংশ ফের ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে খুলে যায় বলে মেট্রো সূত্রে খবর। ওই সময়ের মধ্যে মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে মেট্রো অবশ্য চলছিল। তবে সোমবার বিভ্রাট আরও চওড়া, আরও বিস্তৃত।
সোমবার সকালে পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের মাঝের ট্র্যাকে জল ঢুকে যায়। স্টেশনের একাংশ এবং পুরো ট্র্যাকই ছিল জলের তলায়। ফলে সাতসকালেই ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবা। বস্তুত, পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের ‘জলছবি’ অতীতের অতি বড় দুর্যোগেও কেউ দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না। যদিও মেট্রো স্টেশনে জল ঢোকার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। কিছু দিন আগের বৃষ্টিতেই পার্ক স্ট্রিট স্টেশন ভেসে গিয়েছিল। সে সময়ে মেট্রো চলাচল ব্যাহত না হওয়ায় হয়তো পরিস্থিতির দিকে চোখ পড়েনি আমজনতার। অতীতেও পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে জল ঢোকার নজির রয়েছে। তবে সোমবার সেই পার্ক স্ট্রিটই যাত্রীদের চূড়ান্ত ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সোমবার সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। পার্ক স্ট্রিট-এসপ্ল্যানেডে জল জমার কারণে গিরিশ পার্ক থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। মেট্রোর তরফে জানানো হয়, যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে প্রথমে কবি সুভাষ থেকে টালিগঞ্জ এবং গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত ভেঙে মেট্রো চালু করা হয়েছে। কর্মীরা পাম্পের সাহায্যে লাইন থেকে জল নিষ্কাশন করেন। কিন্তু বাইরে তখন প্রবল বৃষ্টির কারণে পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, ময়দান এলাকায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। লাইন থেকে জল নিষ্কাশন করতে বেগ পেতে হয় মেট্রোর কর্মীদের। সকাল ১০টা ২১ মিনিটে ময়দান থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তার পর সেই দুপুর ১২টা ০৫ মিনিটে পুরোপুরি স্বাভাবিক হল মেট্রো পরিষেবা।
কেন মেট্রোর এই ‘দুর্দশা’
পাম্পের মাধ্যমে পার্ক স্ট্রিট স্টেশনের ভিতর থেকে জল বার করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও বার বার বেগ পেতে হয়েছে পরিষেবা সচল করতে। ধীরে ধীরে গিয়েছে মেট্রো। তবে কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা ভিন্ন। মেট্রোরেলের সঙ্গে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত এক কর্তা আনন্দবাজার অনলাইনকে নিজের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এত বছর ধরে কাজ করছি, মেট্রো স্টেশনে জল ঢুকে পড়ছে, তাতে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে, এই পরিস্থিতি আগে কখনও দেখিনি। কিছু জায়গা থেকে কোনও ভাবে হুড়হুড় করে জল ঢুকছে। সেই জায়গাগুলি এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। আপাতত আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পরিষেবা স্বাভাবিক করা। কী ভাবে জল ঢুকছে, তা তার পর ভাবা যাবে। তবে মেট্রোর ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে এটা খারাপ।’’ আর মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘সকাল থেকে মেট্রো চলছিল। পরিষেবা আটকাল শহরে জল জমার পর।’’ তিনি জানান, ময়দান চত্বরে জমা জল নীচে নামতে পারছিল না। সে জন্য পার্ক স্ট্রিট স্টেশনের উপর দিয়ে চুঁইয়ে জল নীচে চলে এসেছে। স্টেশনে জল ঢুকেছে।
এই অবস্থায় যাত্রীদের স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া যায় না। বিপদ এড়াতেই তাই এখানে মেট্রো বন্ধ রাখা হয়েছিল।’’ কোথা থেকে জল ঢুকছে, তা জানা যায়নি। তবে পাম্পিং ব্যবস্থায় কোনও গোলমাল হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছিলেন কৌশিক। তবে সব মিলিয়ে কর্তৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ। কর্মীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা মেট্রোর দেওয়াল, প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করেন। বাইরে থেকে জল ঢুকলে তা আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। জল কোথা থেকে ঢুকছে, তা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তবে আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে এমন কিছু ছবি রয়েছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের দেওয়াল দিয়ে হুড়হুড় করে জল ঢুকছে। সমস্যার সমাধান কী ভাবে হবে? তার উত্তর অবশ্য ভবিষ্যতের গর্ভে।
মেট্রো-অসুবিধায় দায়ী কলকাতা পুরসভা?
মেট্রোর সাবওয়ে ও লাইনে জল ঢুকে পড়ার জন্য কলকাতা পুরসভার দিকেই আঙুল তুলেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁরা জানান, পার্ক স্ট্রিটে সাবওয়ের মাথায় পুরসভার যে নিকাশি নালা ছিল, তাতে ফাটল ধরেছে। সেই কারণেই বিপত্তি। পার্ক স্ট্রিটে সাবওয়ের উপর পুরসভার যে নিকাশি নালা রয়েছে, তাতে ‘লিকেজ’ হয়। সে কারণে স্টেশনের ‘ডি-ওয়াল’-এর সন্ধিস্থল দিয়ে ভিতরে ঢুকে আসছিল জল। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না হয়, তা নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ করা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম যদিও ভারী বৃষ্টিকে দায়ী করে জানান, সকলে ‘অপদার্থ’ হয়ে বসে রয়েছেন, এমন নয়। কিন্তু পুরসভার নিকাশি নালা ‘লিক’ করে মেট্রো স্টেশনে জল ঢোকার সুযোগ নেই। তাঁর কথায়, ‘‘সে রকম সুযোগ নেই। মেট্রোর গার্ড ওয়াল পোক্ত। ওদের কোনও একটা জায়গায় ‘লিকেজ’ হয়েছে, তাই জল ঢুকেছে।’’ মেয়রের সংযোজন, ‘‘ভগবান কোথায় কত মেঘ দেবে (তা নির্ধারণ করা যায় না)! কলকাতায় এক দিনে ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তাতে আমাদের কর্মীরা দারুণ কাজ করেছেন। এ ধরনের ছোটখাটো ঘটনা থাকবেই। তার মানে এই নয় যে, সকলে অপদার্থ হয়ে বসে রয়েছি।’’
জল টলমল কলকাতা
বরাহনগরের কাশীনাথ দত্ত রোডে একটি পরিত্যক্ত কারখানার ধাতব চিমনি গাড়িগুলির ওপর ভেঙে পড়ে থেঁতলে গিয়েছে সারি দিয়ে দাঁড়ানো বেশ কয়েকটি গাড়ি। সিঁথির মোড় লাগোয়া কাশীনাথ দত্ত রোডও ছিল জলমগ্ন। আরও উত্তরে এগোলে পরিস্থিতি মোটামুটি এক। বাগবাজারের কিছু অংশ, বিধান সরণির কিছুটা, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি থেকে সিটি কলেজের আশপাশ, জল-দুর্ভোগে পড়েছিলেন সবাই। সোমবার সকালে ফুঁসছিল গঙ্গা। জল ঢোকা রোধ করতে এক সময় মিলেনিয়াম পার্কে লকগেট বন্ধ করা হয়।
রেমালে প্রাণহানি কলকাতায়
রেমালের দাপটে কলকাতায় ঝরে গেল একটি প্রাণ। এন্টালির ১০ নম্বর বিবির বাগান এলাকায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কলকাতা পুরসভার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি বাড়ির কার্নিস ভেঙে পড়ে। ঝড়ের মাঝে ছেলেকে খুঁজতে গিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়। সেই সময়েই কার্নিস ভেঙে পড়ে তাঁর মাথায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, আহতকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে জানা গিয়েছে নিহতের নাম শেখ সাজিদ। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। এন্টালির মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে মেয়র বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক। একটা মানুষের প্রাণ যাবে, এটা তো দুঃখজনক। আমার বাড়ির পাশেও একই ঘটনা। কার্নিস ভেঙে ভেঙে পড়ছে। সারাতে বলছি, শুনছে না।’’
এ দিকে দক্ষিণ কলকাতায় শরৎ বোস রোড, আলিপুর এলাকায় একাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে। একাধিক জায়গায় ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তার। হাকিম বলেন, ‘‘আমাদের দুশ্চিন্তা রয়েইছে। থানার ওসিরাও নজর রাখছেন।’’ সন্ধ্যা হয়েছে। রাত গড়িয়েছে। তার পরেও জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন এলাকা।
রেমালের প্রভাব পড়ল টলিপাড়ায়
রাস্তা বন্ধ গাছ পড়ে। গণপরিবহণও ব্যাহত। তার মধ্যেই রেমালের সঙ্গে সারা দিন লড়াই করল টলিপাড়া। কোথাও বন্ধ থাকল শুটিং। আবার কোথাও চ্যালেঞ্জ নিয়েই দিনভর চলল কাজ। সোমবার টলিপাড়ায় একাধিক ধারাবাহিকের শুটিং যেমন বন্ধ রাখা হয়েছিল, তেমনই আবার কিছু ধারাবাহিকের এপিসোড ব্যাঙ্কিংয়ের কথা মাথায় রেখে শুটিং করা হয়। তবে সব ফ্লোরেই অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ কিছুটা দেরিতে কাজ শুরু হয়েছে। অনেকেই দ্রুত শুটিং শেষ করতে চেয়েছেন। আবার কোনও কোনও ফ্লোরে বৃষ্টির দিনেই দুপুরে খিচুড়ি-সহ আড্ডায় মেতেছেন কলাকুশলীরা। তবে আড্ডার মুখ্য বিষয় ছিল রেমাল সংক্রান্ত আলোচনা।
উল্লেখ্য, রেমাল রবিবার রাত ৮টা নাগাদ দিকে মোংলা বন্দরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছিল। ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন জেলায় প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। রাত দেড়টা থেকে ২টো মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১১ কিলোমিটার গতিতে ঝড় বয়ে গিয়েছে পটুয়াখালির খেপুপাড়ায়। ঝড়ের অভিঘাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় ছ’টি জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত। বাংলায় মৃতের সংখ্যা সাত।