মায়ের দুধ বিক্রি করলে বিশাল জরিমানা, একাধিক বড় নির্দেশিকা FSSAI-র
আজ তক | ২৮ মে ২০২৪
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) মাতৃদুগ্ধ নিয়ে একটি বড় নির্দেশ জারি করেছে। FSSAI মাতৃদুগ্ধের প্রক্রিয়াকরণ এবং বিক্রিকে ভুল বলে বিবেচনা করেছে এবং এর বাণিজ্যিকীকরণকেও ভুল বলে আখ্যায়িত করেছে। এটির ব্যবহার শুধুমাত্র নবজাতক বা হাসপাতালগুলিতে শিশুদের দেওয়ার জন্য অনুমোদিত। FSSAI অর্থাৎ ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়াও এই বিষয়ে একটি পরামর্শ জারি করেছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) এফএসএস আইন ২০০৬ এর অধীনে মাতৃদুগ্ধের প্রক্রিয়াকরণ এবং বিক্রির অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরও পরামর্শ দিয়েছে যে মায়ের দুধ এবং এর পণ্যগুলির বাণিজ্যিকীকরণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। FSSAI, ২৪ মে জারি করা তার পরামর্শে বলেছে যে মাতৃদুগ্ধ এবং এর পণ্যগুলির বাণিজ্যিকীকরণের জন্য অনেক সংগঠনের কাছ থেকে অনুরোধ এসেছিল।
মাতৃদুগ্ধ বিক্রির বিষয়ে কোনও নিয়ম নেই
পরামর্শক বলছে যে FSSAI FSS আইন ২০০৬ এবং এর অধীনে তৈরি নিয়ম মাতৃদুগ্ধের প্রক্রিয়াকরণ ও বিক্রির অনুমতি দেয়নি। তাই মায়ের দুধ ও এর পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি কেউ এটি করে তবে আইনের অধীনে প্রণীত নিয়মগুলির লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
FSSAI জানিয়েছে যে কিছু সংস্থা দুগ্ধজাত পণ্যের আড়ালে মাতৃদুগ্ধের ব্যবসা করছে। শুধু বুকের দুধ দান করা যায়, এর বিনিময়ে কোনও অর্থ বা সুবিধা নেওয়া যাবে না। মায়ের দুধ বিক্রি বা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না। বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য শিশু ও মা সুস্থ থাকলে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। এফএসএসএআই বলেছে যে এর পাশাপাশি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করা উচিত যে 'মায়ের দুধ বা মানুষের দুধ' প্রক্রিয়াকরণ বা বিক্রির সঙ্গে জড়িত এই ধরনের এফবিও-কে কোনও লাইসেন্স দেওয়া হবে না।
লঙ্ঘনের জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা
FSSAI জানিয়েছে যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কিছু সংস্থা এই ধরণের দুধ বিক্রি এবং প্রক্রিয়াকরণের কাজ করছে। কিছু কোম্পানি দুগ্ধজাত পণ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে FSSAI লাইসেন্স পেতে সফল হয়েছে। এখন ব্রেস্ট ফিডিং প্রমোশন নেটওয়ার্ক অফ ইন্ডিয়া সরকারকে এই ধরনের কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছে। লঙ্ঘনকারীদের ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।