• ৬৭ বছরের রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টি ত্রিপুরায়
    আজকাল | ২৯ মে ২০২৪
  • সমীর ধর, আগরতলা: ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর দাপটে ৬৭ বছরের রেকর্ড বৃষ্টি হল ত্রিপুরায়। সড়ক ও রেলপথে রাজ্য বিচ্ছিন্ন। হাওড়া, মনু, খোয়াই, গোমতী সমেত অধিকাংশ নদীর জল ফুলেফেঁপে ভাসিয়েছে শহর বাজার গ্রাম। সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর থেকে গোটা রাজ্যেই বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল সরকারি মেডিক্যাল কলেজ জিবি হাসপাতালও সম্পূর্ণ বিদ্যুত-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। মঙ্গলবার বেলা ৯টার পর বৃষ্টি থেমে রোদ উঁকি দিলেও রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা এখনও বিদ্যুতবিহীন। উপড়ে পড়েছে প্রচুর গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, পড়েছে ঘরবাড়ি। ফসলের ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। রাজধানী আগরতলার রাস্তাঘাট কয়েক ঘণ্টার জন্য জলের তলায় চলে যায় শেষ রাত থেকে। পশ্চিম জেলা প্রশাসনকে নৌকো নামাতে হয় বন্যার্তদের উদ্ধারে। অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয় শরণার্থীদের জন্য। বন্যা দেখা দিয়েছে ঊণকোটি জেলা-সদর কৈলাসহরেও। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তৃত হিসেব করছেন প্রশাসনের কর্তারা। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বেশির ভাগ জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এটা গত ৬৭ বছরের মধ্যে রেকর্ড। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঊণকোটি জেলায়, ২৫২ মিলিমিটারের বেশি। ধলাই জেলায় এই সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ ২৪৮ মিলিমিটারের ওপরে। উত্তর জেলায় ২৪২, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ২২৯, খোয়াই জেলায় ১৯৯, গোমতী জেলায় ১৯৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তুলনায় সিপাহিজলা এবং দক্ষিণ জেলায় বৃষ্টি কিছুটা কম হয়েছে বলে আইএমডি জানিয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)