• সেপটিক ট্যাঙ্কে পাওয়া গেল প্রচুর মাংসের টুকরো-চুল, অবশেষে মিলল এমপি আনারের দেহাংশ!
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিউ টাউনের আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক মিলল মানুষের দেহাংশ। বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি করতে গিয়ে সেপচিট ট্যাঙ্কে চুলও পেয়েছে সিআইডি। এমনটাই সূত্রের খবর। ওই দেহাংশ কি আনারের দেহেরই অংশ? এমন প্রশ্ন উঠছে।

    মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে সিআইডিকে অনুরোধ করা হয় দুটি জায়গায় তল্লাশি চালানোর জন্য। একটি হল যে ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয় তার সেপটিক ট্যাঙ্ক ও অ্যাপারট্মেন্টের পাশের একটি খালে। সেই অনুরোধ মতো সিআইডি সিএসএফএলের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালানো হয়। সেই ট্যাঙ্ক থেকে প্রচুর ছোট ছোট মাংসের টুকরো পাওয়া গিয়েছে।  তার ওজন প্রায় ৪ কেজি। পাশাপাশি পাওয়া যায় চুলও। এখন ফরেন্সিক পরীক্ষার পর বোঝা যাবে ওই মাংস কোনও মানুষের কিনা।এদিকে, আনারের দেহাংশ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে এমনটাই দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপি ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিবি) আব্দুল আহাদ। তিনি জানিয়েছেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে এমপি আনারের মরদেহের যে খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তার ওজন প্রায় চার কেজি।প্রসঙ্গত, ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসেন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। সেখানে তিনি প্রথমে বরাহনগরে স্থানীয় বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। ১৩ মে তিনি গোপালের বাসা থেকে বেরিয়ে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে যান। ওই ফ্ল্যাটটি আনোয়ারুল আজিমের বন্ধু আক্তারুজ্জামান ভাড়া করেছিলেন। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়।এদিকে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আনারকে খুন করার পর তার দেহ টুকরো করা হয়। একপর হাড়, মাংস আলাদা করা হয়। মাংসে হলুদ ও অন্যান্য পাউডার মেশানো হয়। শুধু তাই নয় হাড় ও মাংস ওজন করা হয়। এরপর ওজন করে প্য়াকেটে ভরা হয়। আনারের হলুদমাখা দেহের টুকরা একটি ট্রলিতে করে হস্তান্তর হয়েছিল নিউ টাউনের একটি পাবলিক টয়লেটে। খুনের মূল অভিযুক্ত আমানুল্লাহ ওই পাবলিক টয়লেটেই তার সঙ্গী জিহাদ হাওলাদারের হাতে তুলে দিয়েছিল ওই ট্রলি। সোমবার জিহাদকে সঙ্গে নিয়েই ওই পাবলিক টয়লেটে যান বাংলাদেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।মঙ্গলবার জিহাদকে নিউ টাউনের অভিজাত বহুতলের ফ্ল‌্যাটে নিয়ে যান গোয়েন্দারা। আনারকে খুনের পর তার দেহের মাংস ও হাড় আলাদা করে ফেলে এই জিহাদ ও তার সঙ্গী সিয়াম। পেশায় কসাই জিহাদ আন্দাজে মাংস কেটে তার সঙ্গে থাকা ছোট ওজনযন্ত্রে কয়েকটি মাংসের টুকরা ওজন করে দেখেও নিয়েছিল। একেকটি মাংসের টুকরা ছিল ৭০ থেকে ১০০ গ্রাম। আজিমের মাথা আধখানা করে তা-ও টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়। জিহাদের দাবি, মাথার টুকরো অন্য দুই অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও ফয়জল অন্য টুকরোর সঙ্গে আলাদা ট্রলিতে পুরেছিল। ওই টুকরোগুলো দু’জন বনগাঁ সীমান্তের কাছে যশোর রোডের উপর ফেলে দেয়।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)