কথা হোক খোলাখুলি! বিশ্ব ঋতুকালীন স্বাস্থ্য দিবসে সচেতনতার পাঠ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের
প্রতিদিন | ২৯ মে ২০২৪
ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: আর নয় লুকোচুরি, কথা হোক খোলাখুলি। এই থিম নিয়ে মঙ্গলবার, ২৮ মে বিশ্ব ঋতুকালীন স্বাস্থ্য দিবস বা ওয়ার্ল্ড মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে পালিত হল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধীন পাভলভ মানসিক হাসপাতালের রোগিনীদের নিয়ে। পিঙ্ক ফ্ল্যাগ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ন্যাশনাল-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা। ঋতুচক্র যেহেতু ২৮ দিনের হয় এবং ৫ দিন তা স্থায়ী হয়, তাই বছরের পঞ্চম মাসের ২৮তম দিনটিকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বেছে নিয়েছে ঋতুকালীন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার উদ্দেশ্যে।
এদিনের অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়, পিরিয়ডস মহিলাদের একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া হওয়া সত্ত্বেও এ নিয়ে লুকোছাপায় মেয়েদের একপ্রকার বাধ্য করে সমাজ। এ নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা নিয়েও রয়েছে ছুৎমার্গ। ফলে দ্বিধাবোধ আর সংশয় থেকেই মহিলাদের পিরিয়ডস বা মেনস্ট্রুয়েশন সংক্রান্ত সমস্যার কথাবার্তা আড়ালেই থেকে যায়। সেই সব কথা সামনে আনার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে চলেছে ন্যাশনালেরই প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ পারভিন বানুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পিঙ্ক ফ্ল্যাগ ফাউন্ডেশন। বিগত কয়েক বছরের মতো এ বছরেও বিশ্ব ঋতুকালীন স্বাস্থ্য দিবস পালন করতে গিয়ে তাঁরা এবার বেছে নেন পাভলভের আবাসিক মহিলাদের। কেননা, মানসিক রোগিণীদের ‘কথা বলা’র মানুষ বড় কম আর পাঁচ জনের তুলনায়।
অনুষ্ঠানে পিরিয়ডস সংক্রান্ত ট্যাবু ভাঙার অঙ্গীকার নিয়ে একটি কমেডি নাটকও মঞ্চস্থ হয়। মানসিক রোগিনীদের নিজেদের লেখা সংলাপে সমৃদ্ধ ‘এ আমাদের দেশ’ নাটকটি পরিচালনা করেন চিকিৎসক সায়নদীপ সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী এবং ন্যাশনাল-সহ মহানগরের বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা।