মানিকচক থানা-কাণ্ড: মানবাধিকার কমিশনে ধৃতের স্ত্রী
আনন্দবাজার | ২৯ মে ২০২৪
মালদহের মানিকচক থানা-কাণ্ডে এ বার রাজ্য ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানালেন ধৃত কংগ্রেস নেতার স্ত্রী তথা ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কদবানু বিবি। মঙ্গলবার স্পিড পোস্টে কমিশনে অভিযোগ করেন তিনি। এই ঘটনায় প্রধানের পাশে রয়েছে জেলা কংগ্রেস।
এ দিন বিকালে মালদহের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের দক্ষিণ মালদহের বিদায়ী সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস নেতা মোত্তাকিম আলম। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মানিকচক থানায় ধরমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান কদবানু বিবির স্বামী তথা কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখকে নগ্ন করে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। থানার পুলিশের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের কর্তারা ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন জেলা কংগ্রেস নেতারা। মোত্তাকিমের দাবি, “তৃণমূল অনেক চেষ্টা করেও ধরমপুর পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি। প্রধানের স্বামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করছে। আমরা পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।” মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “পুলিশ পুলিশের কাজ করছে। পঞ্চায়েত ভাঙার ব্যাপার নেই।”
পুলিশের দাবি, খুন, বোমাবাজি, বোমা বাঁধার মতো ১২টি মামলা রয়েছে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে। ২৩ মে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এখন তিনি জেল হেফাজতে। অভিযোগ, পুলিশ ২৩ মে তাঁকে আদালতে পেশ করিয়ে হেফাজতে নিয়ে নগ্ন করে অত্যাচার চালায়। অত্যাচারের সেই ভিডিয়ো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ আধিকারিকেরা, দাবি কদবানু বিবির। তিনি বলেন, “পুলিশ মিথ্যে মামলায় স্বামীকে ধরে অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্য ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি।” নগ্ন করে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে মানিকচক থানা।