পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম শেখ সঈদ। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের হটুদেওয়ান এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত ব্যক্তি পাচারচক্রে মূলত ক্যারিয়ারের কাজ করতেন। বাজপাখির বাচ্চাগুলো তিনি বর্ধমান থেকে নিয়ে গিয়ে বিহারে জাহির নামে এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। ওই কাজের জন্য তিনি নাকি ৫০০ টাকা করে পেতেন। পুলিশ পাচারচক্রের মূল অভিযুক্তদের খোঁজে রয়েছে।
আরপিএফ সূত্রে খবর, ১৩১৫১ আপ জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে পাখিগুলিকে গোমোহ নিয়ে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত। পাখিগুলিকে খাঁচাবন্দি করে একটি ব্যাগে ভরে রেখেছিলেন। বর্ধমান স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘুরছিলেন ওই ব্যক্তি, তখনই কর্মরত আরপিএফ কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এই ঘটনা নিয়ে বর্ধমান বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার হালিমা খাতুন বলেন, ‘‘আরপিএফ ছয়টি বাজপাখির শাবক উদ্ধার করে বর্ধমান রেলস্টেশনের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে। তার পর বন দফতরে খবর দেওয়া হলে আমাদের কর্মীরা বাজপাখির বাচ্চাগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক বাজপাখির বাচ্চাগুলির চিকিৎসা করার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ধৃত শেখ সঈদ কবুল করেছেন পাখি পাচারের বিষয়টি।’’