২ সন্তানের বাবা 'বিবাহিত' শিক্ষকের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠতা'' চিকিৎসক হতে চাওয়া যুবতীর চরম পরিণতি...
২৪ ঘন্টা | ২৯ মে ২০২৪
প্রদ্যুৎ দাস: শিক্ষকের নামে সুইসাইড নোট লিখে জলপাইগুড়িতে আত্মঘাতী এক যুবতী। মৃতার নাম পৌলমী বোস। যুবতীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জলপাইগুড়ি শহরের আদরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ওই যুবতী। সুইসাইড নোটে তিনি শিক্ষক দেবরাজ তলাপাত্রের নাম লিখেছেন। পেশায় শিক্ষক অভিযুক্ত দেবরাজ তলাপাত্র বিবাহিত। তাঁর ২ সন্তানও রয়েছে। পাশাপাশি দেবরাজ একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সুবাদেই যুবতীর পরিবারের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা হয় দেবরাজের। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ওই যুবতীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল অভিযুক্ত দেবরাজ তলাপাত্রের। এরপর সোমবার বিকেলে নিজের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন পৌলমী বোস নামে বছর ২১-এর ওই যুবতী। জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানে স্নাতক ওই যুবতী অত্যন্ত দরিদ্রতার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এইবার ডাক্তারি পরীক্ষায় বসবেন বলেও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু কী কারণে কেন হঠাৎ আত্মঘাতী হলেন পৌলমী? তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার।
যদিও পৌলমীর লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে দেবরাজ তলাপাত্রের নাম থাকায়, মৃতার বাবার প্রবাল বসু বলেন,"আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ি দেবরাজ। মেয়েকে ফিরে পাব না। কিন্তু অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।" যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দেবরাজ তলাপাত্র। তিনি দাবি করেছেন, ঠাকুরের কাজকর্ম করতে গিয়ে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে পরিচয়। গতকাল আত্মহত্যা করে মেয়েটি। সুইসাইড নোটে তাঁর নাম উল্লেখ থাকায় পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তিনি নির্দোষ। এই ঘটনায় পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে তোলা হয়। সহকারী সরকারি আইনজীবী জানান, ধৃতের জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সবদিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিস।