• ‌রাতের অন্ধকারে ভরাট হয়ে যাচ্ছে জঙ্গিপুরের শতাব্দী প্রাচীন পুকুর,‌ বর্ষায় বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় এলাকাবাসী ...
    আজকাল | ৩০ মে ২০২৪
  • ‌আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বড়সড় বিপদের মুখে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার মির্ধাপাড়ায় রাতের অন্ধকারে কিছু জমি মাফিয়া এবং কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি এলাকার প্রায় শতাব্দী প্রাচীন একটি পুকুর (‌‌যা ওই এলাকার জল নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে)‌ রাতের অন্ধকারে বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গিপুর পুরসভার রঘুনাথগঞ্জ শহরে অতিবৃষ্টি বা বর্ষাকালে শহরের জল নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে এই পুকুরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ২–১০ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশির বেশিরভাগ জল ওই পুকুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যায়। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার অভিযোগ, প্রায় ১১০ বছরের পুরনো এই পুকুরটি আগেও কয়েকজন জমি মাফিয়া ভরাটের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমাদের সকলের প্রতিরোধে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সম্প্রতি ফের পুকুরটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়রা দেখতে পাচ্ছেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টর এবং লরি করে ইট এবং রাবিশ এনে পুকুরের ধারে ফেলা শুরু করেছেন এবং পুকুরটি অল্প অল্প করে বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুরটি বুজিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে জমি মাফিয়ারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শতাব্দীপ্রাচীন পুকুরটি যে ভরাট হচ্ছে তা পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে স্থানীয় কাউন্সিলর–সকলেই জানেন। এলাকাবাসীদের কথায়, পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে বর্ষাকালে বা অতিবৃষ্টি হলে জঙ্গিপুর পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা বানভাসি হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক শিক্ষকের নেতৃত্বে কিছু জমি মাফিয়া পুকুর ভরাটের কাজ করছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবাদুল হক নামে ওই শিক্ষক। জঙ্গিপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানান, লিখিত অভিযোগ এলে বিষয়টি পুরসভার নজরে আনা হবে। 
  • Link to this news (আজকাল)