• এ বার সিএএ শংসাপত্র বাংলার আবেদনকারীদের, শেষ দফার ভোটের আগে ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের
    আনন্দবাজার | ২৯ মে ২০২৪
  • শেষ দফার ভোটের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির স্থান-কাল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাতে উত্তর ভারতের হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নামও।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিএএ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি বুধবার থেকে সিএএ আইন অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফার পরে গত ১৫ মে প্রথম বার ৩০০ জন সিএএ আবেদনকারীকে শংসাপত্র বিলি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং দিল্লিতে ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দিয়েছিলেন।

    দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সমস্ত অমুসলিম (হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি) ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অন্তত পাঁচ বছর ভারতে কাটিয়েছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে সিএএ-তে আবেদন জানাতে পারেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

    এ ছাড়া নাগরিকত্ব আইনের ব্যাখ্যায় যাঁরা ৫ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত, তাঁদেরও আবেদনের কথা ভাবতে হতে পারে। ওই ৫ নম্বর ব্যাখ্যা বলছে, ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কিংবা তার পরে যাঁদের এ দেশে জন্ম, তাঁদের বাবা-মা দু’জনেই ভারতীয় হলে, তিনিও এ দেশের নাগরিক। কিন্তু বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত এক জন ভারতীয় নাগরিক না হলেই সন্তানের নাগরিকত্বও প্রশ্নের মুখে পড়বে।

    সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দিয়েছিলেন সিএএ বিলে। কিন্তু তার পরে প্রায় পাঁচ বছর কার্যকর হয়নি ওই আইন। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ১১ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে। তাঁর ওই ঘোষণার পরেই নাম নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদনের সুযোগ দিতে চালু হয় অনলাইন পোর্টাল।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)