• পরশুরামের কুঠার' ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একের পর এক হত্যা, রক্তে ভাসল...
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মধ্যপ্রদেশে ঘটল এক ভয়াবহ ব্যাপার। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায় যেন পরশুরাম আবির্ভূত হল! একটি পরিবারের ৮ জনকে খুন করেন ওই যুবক। মধ্যপ্রদেশের মহুলঝির থানা এলাকায় ঘটেছে এই অবিশ্বাস্য ভয়ংকর কাণ্ড। কুঠার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক যুবক। সেই রক্তমাখা উদ্ধত কুঠার দিয়েই তিনি একে-একে ৮ জনকে কুপিয়েছেন! পরে নিজেকেও শেষ করে দেন।

    কেন এই পরশুরামসুলভ আচরণ? কে এই একালের পরশুরাম?আসুন, তার আগে সেই আদি পরশুরাম সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক। পুরাকালে পরশুরাম এ বিশ্বকে নিঃক্ষত্রিয় করেছিলেন। তিনি তাঁর কুঠার নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন বিশ্বে। ক্ষত্রিয় দেখলেই তাকে হত্যা করতেন। পরশুরাম বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। তিনি ত্রেতা যুগে এবং দ্বাপর যুগে ছিলেন। পরশুরামের পিতা জমদগ্নি ব্রাহ্মণ হলেও, মা রেণুকা ছিলেন ক্ষত্রিয়। কঠোর তপস্যা করে তিনি শিবের থেকে পরশু বা কুঠার লাভ করেন। পরশুরাম মহাবীরও ছিলেন। মন দিয়ে শিখেছিলেন যুদ্ধবিদ্যা। কথিত আছে, তিনি সমুদ্রের আগ্রাসন থেকে কোঙ্কণ ও মালাবার অঞ্চলকে রক্ষা করেছিলেন। এই কারণে কেরালা ও কোঙ্কণ উপকূলীয় অঞ্চলকে পরশুরাম-ক্ষেত্র বলা হয়। পরশুরাম ছিলেন ব্রহ্মক্ষত্রিয়। তিনিই ছিলেন প্রথম যোদ্ধা ঋষি। তাঁর মা অযোধ্যার সূর্যবংশের সন্তান ছিলেন। উল্লেখ্য, এই বংশেই রামচন্দ্রের জন্ম হয়। পরশুরাম ছিলেন শিবের উপাসক।ঘটনার সূত্রপাত, রাত ২টো থেকে ভোর তিনটের মধ্যে। এ-কালের এই পরশুরামের নাম দীনেশ। তিনি একজন আদিবাসী যুবক। সদ্য তাঁর বিয়েও হয়েছে। তিনি একটি কুঠার নিয়ে ঘুরতেন। সেই কুঠার দিয়েই পরিবারের ৮ জনকে কুপিয়েছেন। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিসের দাবি, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।তবে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের একটি শিশু কোনও ভাবে দীনেশের কুঠারের আঘাত থেকে বেঁচে যায়। সে ছুটে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচায় এবং সেই প্রতিবেশীদের খবরটা জানায়। তার কাছ থেকে খবর পেয়েই সকলে সেই বাড়িতে ছুটে আসেন।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)