• কাজের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে 'ধর্ষণের' চেষ্টা 'বাহুবলী' তৃণমূল নেতার!
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ মে ২০২৪
  • শ্রীকান্ত ঠাকুর: কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বালুরঘাট থানায় ওই তৃণমূল নেতার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিস৷ এদিকে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের বিষয় জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে৷ তোলপাড় জেলার রাজনীতি। বালুরঘাট থানার পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।অন্যদিকে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পর, গোপন জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে বালুরঘাট আদালতে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই নেতার নাম রাকেশ শীল। তিনি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের (INTTUC) প্রাক্তন জেলা সভাপতি। মাস দুয়েক আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মহিলা কর্মীদের মধ্যে গোলমালের সময়ও উঠে আসে রাকেশ শীলের প্রভাব খাটানোর বিষয়। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে ওই হাসপাতালে অরাজকতার সৃষ্টির অভিযোগও উঠে আসে। পাশাপাশি বালুরঘাট শহর লাগোয়া বেআইনি নির্মাণেও নাম জড়ায় তাঁর। তারপরই তাঁকে শ্রমিক সংগঠনের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শহরে বাহুবলী নেতা হিসেবে পরিচিত রাকেশ। এবার রাকেশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু হতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। যদিও পুলিস এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি। জেলা পুলিস সুপার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না। নেত্রী স্পষ্ট দিয়েছেন যে, দলে কোনওরকম বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না। এই ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয়। আইন আইনের পথে চলবে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার কটাক্ষ করেন, সন্দেশখালির ঘটনার পর এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে মায়েরা সুরক্ষিত নয়। বালুরঘাটের এই ঘটনা আরও একবার তা প্রমাণ করে দিল। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। যদিও অভিযুক্ত রাকেশ শীলের দাবি, যারা অভিযোগ করেছে, তাদের আমি চিনি না। কোনওদিন দেখা হয়নি। কী কারণে অভিযোগ করেছে, আমি জানি না।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)