১০ বছরের অপেক্ষার অবসান, এবার ভোট দেবেন পাভলভ, লুম্বিনীর আবাসিকরা
প্রতিদিন | ৩০ মে ২০২৪
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ?১ জুন আসছে দিন, ওই চিহ্নে ভোট দিন।? শুনে পাল্টা স্লোগান, একদম না। ভোট দিন এই চিহ্নে। বুধবার পাভলভ হাসপাতালের ধোবি ঘরে এমন স্লোগান চালাচালির সঙ্গে কাজও চলছে। একদল স্লোগান দিচ্ছে, পাল্টা স্লোগান তার পরে। অন্তত ২০-২২ জন আবাসিক কাজও করছেন স্লোগানও চলছে। তবে রাজনীতির সেই কড়া উত্তাপ এখানে অনুপস্থিত। সুস্থ হয়ে ওঠা এই মানসিক রোগীদের মস্তিষ্কে রয়েছে শুধু ফেলে আসা জীবনের টুকরো টুকরো স্মৃতি। স্বাস্থ্য ভবনের প্রাথমিক তথ্য বলছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে (West Bengal Lok Sabha Election 2024) কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্রে মিলিয়ে পাভলভ ও লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালের অন্তত ৮৬ জন শনিবার প্রথমবার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন।
এই দুই মানসিক হাসপাতালের আবাসিকদের ভোটের পরিচয়পত্র তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছিল অন্তত দশবছর আগে। সরকারি দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত পৌঁছতেই সাত বছর কেটে যায়। শেষপর্যন্ত তিনবছর আগে ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র বিলি করা হয়। পাভলভের (Pavlov Hospital) ৮৫জন এবং লুম্বিনী মানসিক হাসপাতালের ৬৫ জনকে ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। দুই হাসপাতালের সুপার পরিচয়পত্রে স্বাক্ষর করেন।
নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই আবাসিকরা দশবছর বা তার বেশি এই কেন্দ্রে বসবাস করছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সেন্টার অফ এক্সলেন্স পাভলভ মানসিক হাসপাতাল। অধ্যক্ষ ডা.অজয় রায়ের কথায়, ‘‘প্রথম দফায় ৮৫ জনকে ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই বাড়ি ফিরে যায়। এবার প্রথম ভোট দেবেন ২৬ জন। অন্যদিকে লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালের (Lumbini Park Hospital) ৬৫ জন ভোট দেবেন। আবাসিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন।?
ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অঞ্জলি।’ সংস্থার কোঅর্ডিনেটর সত্যজিৎ মজুমদারের কথায়, ‘‘পাভলভ হাসপাতাল কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের। হাসপাতালের মধ্যেই পোলিং স্টেশন হয়। তাই আবাসিকদের বাইরে যেতে হবে না। তবে লুম্বিনী পার্ক কলকাতা দক্ষিণের মধ্যে পড়ে। আবাসিকদের ভোট (Lok Sabha 2024) দিতে যেতে হবে বিজয়নগর প্রাইমারি স্কুলে। বাসে করে যাবেন আবাসিকে আসার পর প্রথম গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিতে। ডামি ভিভি প্যাট দেখিয়ে ভোট দেওয়ার পদ্ধতিও দেখানো হয়েছিল তাঁদের।’’