সুনীলের জন্য কুয়েত ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে চান চাংতে...
আজকাল | ৩১ মে ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলতে সদলবলে কলকাতায় চলে এসেছেন সুনীল ছেত্রী। বৃহস্পতিবার থেকে রাজারহাটে ফেডারেশনের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল ভারতীয় দল। ৬ জুন যুবভারতীতে কুয়েতের বিরুদ্ধে ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে নামবে ইগর স্টিমাচের দল। সেটাই দেশের জার্সিতে সুনীল ছেত্রীর শেষ ম্যাচ। কুয়েতকে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডের ছাড়পত্র সংগ্রহ করাই সুনীলের সেরা উপহার হবে। এমনই মনে করেন চাংতে। তাই এই বিশেষ ম্যাচে ভারতীয় অধিনায়ককে গোলে অ্যাসিস্ট করতে চান ভারতের উঠতি তারকা। চাংতে বলেন, 'কুয়েত ম্যাচে আমাদের সামনে ইতিহাস সৃষ্টি করার হাতছানি থাকছে। এটাই আমার মোটিভেশন। একইসঙ্গে মাঝেমধ্যেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি। কারণ পরের রাউন্ডে যাওয়া খুব জরুরি। এটা ছাড়াও এই ম্যাচের মাধ্যমে আমরা ছেত্রী ভাইকে সম্মান জানাতে পারব। ওর এই জয় প্রাপ্য। তবে এটা ওর পক্ষে একা করা সম্ভব নয়। সবসময় একা গোল করা যায় না। গোল করতে সব সময় সাহায্য করাও সম্ভব নয়। কাউকে এগিয়ে আসতেই হয়। তাই আশা করছি আমি এবং আমার দলের বাকি সদস্যরা এই ভূমিকা পালন করতে পারব।' গত ন'বছর সুনীলের পাশে খেলছেন। এই সুযোগ পেয়ে গর্বিত চাংতে। ২০১৫ সালে দেশের জার্সিতে দু'জনের প্রথম যৌথ ট্রফি সাফ কাপ। তারপর গত বছর ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং সাফ কাপ জেতে ভারতীয় দল। ব্লু টাইগারদের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন সুনীল এবং চাংতে। ১৯ বছরের ফুটবল জীবনের সায়াহ্নে ভারতের নেতা। কুয়েত ম্যাচের পরই বুট জোড়া তুলে রাখবেন। তাই মনের কোণে কোথাও দুঃখ লুকিয়ে আছে তাঁর সতীর্থেরও। ২০১৫ সালে ভারতের জার্সিতে হাতেখড়ি হওয়ার পর থেকে সুনীলকেই আদর্শ মেনেছেন চাংতে। ভারতীয় ফুটবলের একনম্বর তারকার সঙ্গে প্রথমদিনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন তাঁরই উত্তরসূরি। চাংতে বলেন, 'তিনটে কারণে আমি সুনীল ভাইকে খুব সম্মান করি। প্রথমত, যেভাবে নিজের খেয়াল রাখে। দ্বিতীয়ত, কাজের প্রতি নৈতিকতা। তৃতীয়ত, ওর নম্রতা। ২০১৫ সালে যখন আমি প্রথম ভারতীয় শিবিরে যোগ দিই, ও আমাকে স্বাগত জানায়। তারপর আমি মাঠে নামার পর আমাকে ডেকে কয়েকটা কথা বলে। নিজের সেরাটা দিতে বলে। খেলাটা উপভোগ করতে বলে। স্বাভাবিক ছন্দে খেলা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। মন যা চায় করতে বলে। আজও কথাগুলো মনে রেখেছি। ওর মতো হওয়া সহজ নয়। যেভাবে ও ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে, আমি সম্মান করি। ওর সঙ্গে সৌনা, স্টিম বাথ নেওয়া আমি সবচেয়ে উপভোগ করি। সঙ্গে জাকুজিও। কারণ সেখানে আমি ওকে অনেক প্রশ্ন করতে পারি।' ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে তাঁর পাস থেকে অনবদ্য গোল করেছিলেন সুনীল। সেই গোল কোনওদিন ভুলবেন না চাংতে। সুনীলের যোগ্য উত্তরসূরি কি হতে পারবেন তিনি? ব্যক্তিগত নয়, টিমগেমেই জোর দিলেন মুম্বই সিটির তারকা ফুটবলার। তবে দলের প্রয়োজনে নম্বর নাইন হিসেবেও খেলতে তৈরি চাংতে।