হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী পাঁচদিন ঝড়বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত। সপ্তাহান্তে বৃষ্টি বাড়বে। উপকূলের কয়েকটি জেলায় দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগে হতে পারে ৫০ কিলোমিটার। বাকি জেলাতেও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাসের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে বৃষ্টি চলবে আগামী তিন থেকে চার দিন। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি সতর্কতা। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বইবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জেলাতে ভারী বৃষ্টি সঙ্গে দমকা বাতাসের পূর্বাভাস। এই ভারী বৃষ্টি চলবে চার-পাঁচ দিন। পয়লা জুন শনিবার থেকে উত্তর দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। রবিবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুরে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে বৃহস্পতিবার ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। পরিস্থিতি অনুকূল রয়েছে ৩ দিনের মধ্যে বাংলায় মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাওয়ার। তিনদিন আগেই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগাম বর্ষা এসেছিল। মৌসুম ভবনের নির্ধারিত দিনের দুদিন আগেই কেরলে পৌঁছে গেল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কেরলের বাকি অংশ এবং নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরামের বাকি অংশে ঢুকে পড়বে মৌসুমী বায়। অরুণাচল প্রদেশের বেশিরভাগ অংশেই ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। একটি অক্ষরেখা রয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। যেটি মধ্যপ্রদেশ ছত্রিশগড় ঝাড়খন্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। অসম ও উত্তরপ্রদেশে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে।