কাল, শনিবারের ভোটের শেষ লগ্নের প্রচারে বৃহস্পতিবার অভিনেতা তথা সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)-কে এনে ‘বাজিমাত’-এর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সকাল থেকে এর জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল বরাহনগরের একাধিক রাস্তা। কিন্তু, তাল কাটল মাঝপথে। বরাদ্দ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বরাহনগর বাজার পর্যন্ত এসে দেব রওনা দিলেন সিঁথি সার্কাস মাঠের হেলিপ্যাডের দিকে। এতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকা লোকজন। আবার, রোড শো পুরো না হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে যান স্থানীয় নেতাদের একাংশও। তৈরি হয়েছে ‘চাপা ক্ষোভ’ও। যদিও বরাহনগরের তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেবের আরও দু’টি জায়গায় কর্মসূচি ছিল। আর জনস্রোতে গাড়ি ঠিক মতো এগোতে পারছিল না। তাই কিছুটা রাস্তা বাকি রেখেই প্রচার শেষ করতে হয়েছে। আমি ও সৌগতদা জেতার পরে দেব আবার আসবেন।’’
অন্য দিকে, প্রচারের শেষ বেলায় সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী দাবি করলেন, মানুষকে ভোট দেওয়া থেকে আটকানো হলে সেখানে পৌঁছে যাবে ‘সুজন-বাহিনী’। দমদম লোকসভা ও বরাহনগরের উপর্নিবাচনে সিপিএম ও বিজেপির আঁতাঁতের যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী তুলেছেন, তা নিয়েও সরব হন তিনি। বলেন, ‘‘৪ জুন হারের পরে মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলবেন, তারই মহড়া করলেন। উনি হয়তো জানেন না, আমাদের ভোট দেওয়া-নেওয়া হয় না।’’ এ দিন দেবের প্রচারের আগে বরাহনগর বাজার থেকে আলমবাজার পর্যন্ত বিজেপির সজল ঘোষের সমর্থনে প্রচার করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।