• 'আমায় ফিরতে দে তারপর বুঝে নেব', তিহার থেকে কেষ্ট-বার্তা
    ২৪ ঘন্টা | ০১ জুন ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বীরভূম থেকে কয়েকহাজার কিলোমিটার দূরে বসে দিন কাটাচ্ছেন বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল(Anubrata Mondal)।  প্রশ্নটা এখানেই। তিহারের জেলে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন কেষ্ট। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, নিজের রাজত্বপাটের কিছুই খবরাখবর পান না তিনি , রাখেন না তিনি। সেখান থেকেই জেলার রাজনীতি, রাজ্য রাজনীতি, দেশের রাজনীতির হালহাকিকত জানতে পারেন তিনি। প্রয়োজনে দেখা করতে যাওয়া মানুষদের কাছ থেকেও খবরাখবর নেন। এবার তাঁদের মারফতই নয়া বার্তা দিলেন 'আমায় ফিরতে দে, তারপর যা বলার বলব'।

    কেন এমন বার্তা দিলেন?জানা যায় যে জেলে বসেই জেলার নেতাদের কে করছেন, কে কি বলছেন, কে কি ভাবছেন, সব খবর নেন অনুব্রত মন্ডল। আর সেখানেই কিছু বিদ্রোহের আভাস পেয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যে জেলে থাকলেও খাতায়কলমে জেলা তৃণমূলের সভাপতি কেষ্টই থাকবেন। কিন্তু সুপ্রিমোর এই সিদ্ধান্তের পরেও জেলার কিছু কিছু নেতারা নিজের নিজের এলাকায় নিজেদের মতো করে দল চালাতে চাইছেন। এমনকী প্রকাশ্যে না হলেও চার দেওয়ালের অন্তরালের কেষ্ট’র বিরোধিতার পথেও হাঁটতে চাইছেন। এই কথা কানে যাওয়া মাত্রই তিহার থেকে জেলায় বার্তা পাঠিয়েছেন কেষ্ট। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনও লোকসভা ভোটে সম্পূর্ণ জেলার বাইরে রইলেন অনুব্রত মন্ডল। সক্রিয়ভাবে ময়দানে না থাকলেও ভোটের খোঁজখবর নেওয়া থেকে অনুগামীদের নির্দেশিকা দেওয়ায় কেষ্ট ছিলেন স্বমেজাজেই। এরই মাঝে আইনগত কারণে কয়েকজন আইনজীবী ও জেলার নেতারা তিহার জেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের এক নেতার সঙ্গে সম্প্রতি জেলে কিছুক্ষণ কথা হয় কেষ্টর। সেই নেতাই জেলায় ফিরে জানিয়েছেন, দলের কয়েকজন নেতার ওপর খুবই ক্ষোভ রয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। বিশেষ করে যারা একসময় তাঁর কথায় উঠত বসত চলত ফিরত, তাঁরাই তিনি গ্রেফতার হতে সম্পূর্ণ ভোল বদলে দিয়েছে। আর তার জেরেই কেষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন 'আমায় ফিরতে দে, তারপর যা বলার বলব'। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)