• কমবয়সীদের তামাকের নেশা থেকে মুক্ত করাই বড় চ্যালেঞ্জ
    আজকাল | ০১ জুন ২০২৪
  • পর্ণী ব্যানার্জি : আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। সিগারেট স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, এটা ক্যান্সারের কারণ। এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হওয়ার পরেও মানুষ এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে আদৌ সচেতন কি? শুধু সিগারেট নয়,তামাকজাত নানা‌ দ্রব্য আজ গোটা বিশ্বকে নিশানা করেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে নতুন প্রজন্ম অনেক বেশি ধূমপানের শিকার। ১৩৩ টি দেশের ১৯.৩৩ % যুব এখন তামাকের নেশায় আচ্ছন্ন। এদের মধ্যে ২৩.৩৭% পুরুষ এবং ১৫.৩৫% মহিলা।দেখা গিয়েছে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বহু দেশে নিষিদ্ধ হলেও এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে না। ভারতও ব্যতিক্রম নয়। তামাক ব্যবসায়ীরা তরুণ প্রজন্মকে তাদের নিশানা করেছে। এই কাজে সামাজিক মাধ্যমকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। আর জি কর হাসপাতালের পালমনোলজিস্ট ডাঃ সৌম্য ভট্টাচাৰ্য বলেন, '১৪-২০ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেড়েছে। এর ফলে খুব অল্প বয়স থেকেই নানা ধরণের রোগ দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিন ৮-১০ জন রোগী হাসপাতালে ক্যান্সারের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। এমনকি ই- সিগারেটে নেশাও তরুণদের মধ্যে বাড়ছে। ই-সিগারেট প্রাথমিক ভাবে তেমন বিপজ্জনক না মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু এর অনেক ক্ষতিকর দিক আছে।'তিনি আরও বলেন, 'ধূমপানের মাত্রা বাড়ার ফলে মাতৃত্বকালীন সমস্যা বাড়ছে। বিগত ১০ বছরে মহিলাদের ধূমপান বেড়েছে। অনেকেই মনে করেন, আধুনিকতার সঙ্গে তাল রাখতে গেলে ধূমপান করতে হবে। এভাবে মহিলারা নিজেদের ক্ষতি করছেন।ইনস্টিটিউট অফ পালমোকেয়ার এন্ড রিসার্চ প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ পার্থসারথী ভট্টাচাৰ্য বলেন, 'কলেজের মেয়েদের মধ্যে ধূমপান বাড়ছে। এটা খুব দুঃখের। এটা ফ্যাশন বলে মনে হলেও তারা আসলে নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। সিগারেট, গুটকা, পানমসলা, বিড়ি, ই- সিগারেট সাধারণ মানুষের জীবনে নানা সমস্যা তৈরী করছে।'ডাঃ ভট্টাচাৰ্য আরও বলেন, 'এর থেকে বাঁচতে নিজেই তৈরী হতে হবে। অনেকসময় কাউন্সেলিং করে এর ক্ষতিকর দিকগুলি বোঝানো হচ্ছে। সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, তবেই তরুণ প্রজন্ম বাঁচতে পারে। সবশেষে বলি তামাক ছাড়াই জীবনকে সুন্দর করতে হবে। প্রকৃতির সঙ্গে যোগ রাখতে হবে। প্রিয়জনের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে হবে। তবেই রোগমুক্ত পৃথিবী গড়া যাবে।'
  • Link to this news (আজকাল)