• 'মোদীজি ৩৭০ আসন চেয়েছেন, মানুষ ওঁকে ওটা দেবেন'! মন্তব্য আত্মবিশ্বসী দিলীপের...
    ২৪ ঘন্টা | ০১ জুন ২০২৪
  • টানা কয়েকদিনের বিরতির পর ফের স্বমেজাজে দিলীপ ঘোষ। আজ, শনিবার তিনি বর্ধমান শহরের  টাউনহলে প্রাতঃভ্রমণ সারেন। তারপর টাউনহলের মাঠে কচিকাঁচাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেন। এরপর তিনি কোর্ট কম্পাউণ্ডের রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাদামতলায় পৌঁছন। সেখানে তিনি চা-চক্রের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন একেবারে নিজস্ব ঢঙে।

    সন্দেশখালি বিধানসভার বেড়মজুর অঞ্চলের ১৪৭ ও ১৪৮ নম্বর বুথে রাতভর পুলিসি তাণ্ডব

    বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালি বিধানসভার বেড়মজুর অঞ্চলের ১৪৭ ও ১৪৮ নম্বর বুথে রাতভর পুলিসি তাণ্ডবের অভিযোগ বিজেপির। তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালিয়ে ৬ জন বিজেপিকর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হলে দিলীপ জানান, এর আগের ফেজগুলিতেও পুলিসকে দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল। আমাদের কিছু আমাদের নেতা-কর্মীকে অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। কোথাও কোথাও সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবার চেষ্টা করা হয়েছিল,এটা বাড়ছে, আমি বলেছিলাম,যত ইলেকশন এগোবে, যত টিএমসি হারবে,হিংসা,পুলিশী অত্যাচার বাড়বে।সেগুলোই দেখা যাচ্ছে কিন্তু সাধারণ মানুষ মন ঠিক করে নিয়েছেন তারা ভোট দেবেন, ঠিক জায়গাতেই দেবেন,এটাই টিএমসির ভয়,তাই তারা শেষ চেষ্টাটা করছে, কলকাতার আশপাশ যেটা ওদের কোর এলাকা সেটা বাঁচাবার, আমার মনে হয় এবারে কেল্লাতে ধ্বস নেমে যাবে।

    >বসিরহাটে বিজেপিপ্রার্থী রেখা পাত্র বলছেন, 'এই প্রথম নিজের ইচ্ছামতো ভোট দেব'

    রেখা পাত্রের এই মন্তব্য নিয়ে দিলীপ বলেন -- (রেখা ) ঠিকই বলেছেন। আমাদের বর্ধমানেও বহু জায়গায় কয়েক বছর পরে লোকেরা নিজের মতো করে ভোট দিয়েছেন। সারা পশ্চিমবাংলায় এটা হয়েছে। বসিরহাট থেকে আরম্ভ করে মথুরাপুর এবং কলকাতার সব জায়গায় এটা হবে। সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন এবং নিজের ইচ্ছামতো ভোট দেবেন, পরিবর্তনের ভোট দেবেন, যাঁরা ওখানে গড় বানিয়ে রেখেছেম, ঘর আমরা তুলে দিয়েছি, ভেঙে দিয়েছি। এবার কলকাতার আশপাশের এই গড়কেও আমরা ভাঙব। 

    আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে

    Open AI-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। তা কমেন্টের মাধ্যমেই হোক, কিংবা ডিপ ফেইক ভিডিয়ো। এ ব্যাপারে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অনেক কিছু চক্রান্ত হয়েছে আগের থেকে, হাজার হাজার কোটি ডলার ইনভেস্ট হয়েছে। কিন্তু সব বেকার হয়ে যাবে। এর আগের ফেজগুলিই মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা রাষ্ট্রবাদের পক্ষে আছেন, তাঁরা মোদীজির পক্ষে আছেন। আজকের শেষ ফেজের ভোটেও সেটাই হবে। যে ভাবে শুরু হয়েছিল ভোট, সেভাবেই শেষ হবে। মোদীজি ৩৭০ আসন চেয়েছেন, মানুষ ওঁকে ওটা দেবেন। 

    মোদীর ধ্যানে নিয়ে বিরোধীদের উষ্মা 

    মোদীর ধ্যানে নিয়ে বিরোধীদের 'মেরুকরণ' সওয়াল। কমিশনে নালিশ কংগ্রেসের। তির্যক মন্তব্য ইন্ডি জোটের। এ ব্যাপারে দিলীপ জানান, সবকিছুতে নালিশ। মোদীজি কেন পরোটা খেলেন, তা নিয়ে নালিশ, মোদীজি কেন ধোকলা খেলেন, সেটা নিয়ে নালিশ। যদি বাংলায় এসে এখানকার খাবার খান, সেটাতেও নালিশ। সব ব্যাপারেই নালিশ। তো, নালিশ করবেন, না রাজনীতি করবেন? পাবলিকের কাছে যান না, সব সময় নির্বাচন কমিশন না হলে আদালত-- এটা লড়াই করার জায়গা নয়। লড়াই করার জায়গা হচ্ছে যেটা সাধারণ মানুষের সমাজ। যে যেখানে থাকেন, সেখানে লড়া উচিত। সে লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে। মোদিজি সেই লড়াই জিতে নিয়েছেন। তো, দেখা যাক! এইসব কমপ্লেনের কোনও মানেই হয় না। ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী কন্যাকুমারীতে গিয়েছেন, আমাদের লোকেরাই সেই বিশ্ববিখ্যাত সৌধ তৈরি করেছেন। যেটা ভারতের কাছে গৌরব। বিবেকানন্দ আড়াই দিন যেখানে ধ্যান করেছিলেন, সেটা আমাদের কাছে স্বাভিমানের প্রতীক। সেখানে মোদীজি গিয়ে দুমাস,তিনমাস, চারমাস প্রচার করেছেন, তাঁর নিজস্ব শক্তি সঞ্চয় করার জন্য, তপস্যা করার জন্য গিয়েছেন, তাতেও কষ্ট হচ্ছে। আপনারা তো কোনও দিন যান না, ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্মান করেন না, আপনাদের কান্নাকাটি করে কী হবে? আমার মনে হয়, এটা শেষ প্রয়াস করছেন ওঁরা। এই নির্বাচনে বিরোধীদের তো শক্তিপরীক্ষার সুযোগ থাকবে না, তাদের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)