প্রথম অভিযোগ, বেআইনি পথে নির্বাচনে জয়ের জন্য কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে পুলিশের মাধ্যমে আলিপুরদুয়ারে টাকা নিয়ে এসেছে তৃণমূল। দ্বিতীয় অভিযোগ, সে টাকা দিয়েই গণনার কাজে যুক্ত থাকা নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশকর্মীদের ‘কেনার’ চেষ্টা করবে রাজ্যের শাসক দল। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জেলা বিজেপি সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। পাশাপাশি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুবর্ণ রায়কে গণনার কাজে যুক্ত না করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের প্রার্থী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের পাল্টা কটাক্ষ, নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় ‘নাটক’ করছে বিজেপি। এ ব্যাপারে ফোন করা হলে তা ধরেননি পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী। জবাব দেননি মেসেজের।
মনোজের দাবি, তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলার দুই নেতা কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে এক ব্যবসায়ীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছে দেন। ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সে টাকা পুলিশের মাধ্যমে আলিপুরদুয়ারে আনা হয়েছে। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজের দাবি, সে টাকা দিয়েই নির্বাচনের গণনার দিন পুলিশ এবং নির্বাচনের গণনার কাজে যুক্ত থাকা আধিকারিকদের ‘প্রভাবিত’ করার চেষ্টা করবে শাসক দল। যদিও বিজেপি প্রার্থী ওই দুই তৃণমূল নেতার নাম প্রকাশ্যে আনেননি। মনোজ জানিয়েছেন, এ নিয়ে এখনও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেননি তিনি। প্রথমে, বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবেন। তার পরে, দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মতো বাকি কাজ করা হবে।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুবর্ণ রায়কে গণনার কাজ থেকে বাদ রাখার জন্য বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে লিখিত আবেদন জানান মনোজ। এ দিনও একই দাবি তুলেছেন তিনি।
মনোজের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, ‘‘টাকা যদি সত্যিই এসে থাকে, তা হলে ইডিকে দিয়ে অনেক আগেই ব্যবস্থা নিতে পারত বিজেপি। এ সবই লোক দেখানো।’’ আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুবর্ণ রায়কে ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।