ফি বছর বর্ষায় ‘জলবন্দি’ হয় পানিহাটি। কিন্তু বৃষ্টির মরসুম পুরোদমে শুরু হওয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল এবং বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হল পানিহাটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এমনকি, ভোট কেন্দ্রের মধ্যেও ঢুকল জল!
আজ, শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। তার আগের দিন, শুক্রবার এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের একাংশের খেদোক্তি, ‘‘জমা জল ঠেলেই ভোট দিতে যেতে হবে। ভোটের সময়েও কি পুর প্রশাসন উদাসীন থাকবে?’’ যদিও পানিহাটি পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, জমা জল সরাতে পুরসভার ১০টি, কেএমডিএ-র একটি ও সেচ দফতরের চারটি পাম্প কাজ করছে। কিন্তু বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বর্ষার মরসুম আসন্ন হলেও নিকাশি সংস্কারের কাজ হয়নি কেন? পানিহাটির পুরপ্রধান মলয় রায় বলেন, ‘‘সমস্ত নিকাশি নালা প্রায় বুজে রয়েছে। কয়েক মাস ধরে বোর্ড মিটিং না হওয়ায় কাজ তেমন ভাবে হয়নি। তবে আশা করছি, ভোটের পরে নিকাশি সংস্কারের কাজ করা হবে।’’
নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ না হওয়ায় বিটি রোডের দু’প্রান্ত মিলিয়ে পানিহাটির ১৯, ২৪, ২৬, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকায় এ দিন বিকেলেও জল জমে থাকতে দেখা গিয়েছে। জমা জলের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ভোটকর্মী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। ঘোলা ভুবনেশ্বরী বালিকা বিদ্যামন্দির চত্বর জলমগ্ন থাকায় মাঠের অস্থায়ী শিবির ছেড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আশ্রয় নিতে হয়েছে ওই স্কুলের ঘরে। একই অবস্থা সোদপুর তীর্থভারতী শিক্ষা মন্দির ভোট কেন্দ্রেও। আবার, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সুভাষনগরে ঈশানচন্দ্র বিদ্যামন্দিরের বুথে হাঁটুসমান জল ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাম্প চালিয়ে জল বার করার পাশাপাশি বালির বস্তা ফেলে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী রাস্তা।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, যে সব ভোট কেন্দ্রে জল জমেছে, সেখানে সাদা বালি, খোয়া ফেলে রাস্তা বানানো হয়েছে। যাতে কাদা-জলে সমস্যা না হয়। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, ‘‘শনিবার বৃষ্টি হলে ফের জল জমবে। তখন কী ভাবে ভোট দিতে যাব? জমা জল ঠেলে অনেকেই হয়তো ভোট দিতে যেতে চাইবেন না।’’