জলে ইভিএম ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জয়নগরের মেরিগঞ্জে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তৃণমূল যদিও আঙুল তুলেছে বিজেপির দিকে। দাবি করেছে, বিজেপির কর্মীরা ইভিএম নিয়ে গিয়ে জলে ফেলে দিয়েছেন। বিজেপির পাল্টা দাবি, তাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। সে কারণে স্থানীয় মহিলারা রেগে ইভিএম জলে ফেলে দিয়েছেন।
শনিবার সকালে মেরিগঞ্জের ৪০-৪১ নম্বর বুথে ইভিএম জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইরে শিবির তৈরি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিবুল লস্কর নামে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল জানিয়েছেন, সেক্টর অফিসারের কাছে যে ইভিএম ছিল, তা বিরোধীরা কেড়ে নিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হচ্ছে। বিজেপির দুষ্কৃতীরা জোর করে ইভিএম ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে জলে ফেলে দেন।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই হচ্ছে।
যদিও জয়নগরের বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারির দাবি, ‘‘৪০ এবং ৪১ নম্বর বুথে এজেন্ট বসতে দেয়নি শাসকদল তৃণমূল। গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। মহিলারা একজোট হয়ে ইভিএম জলে ফেলে দেন।’’
অন্য দিকে, শুক্রবার রাত থেকে উত্তপ্ত ভাঙড়। ভাঙড়ের নলমুড়িতে আইএসএফ এবং তৃণমূলের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে ভাঙড় থানার পুলিশ পৌঁছলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আইএসএফ সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন যুগ্ম কমিশনার শুভঙ্কর সিংহ।