আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিল গত ৬ মে। যে পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি, তারা এই মর্মে আবেদন করেছিল যে, তাদের উত্তরপত্রে ঠিক মতো নম্বর বসানো হয়েছে কি না, তা যেন দেখা হয়। সেই আবেদনের ফল বেরোবে আগামী ৩ জুন বেলা ১১টায়। পরীক্ষার্থীরা ফল দেখতে পাবে সিআইএসসিই বোর্ডের ওয়েবসাইট https://www. cisce.org-তে।
সিআইএসসিই বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলগুলির অধ্যক্ষদের একাংশ জানাচ্ছেন, উত্তরপত্রে নম্বর বসানোর ক্ষেত্রে ভুল খুব কমই হয়। কারণ, একাধিক বার নম্বর যোগ করে তার পরেই চূড়ান্ত নম্বর বসানো হয়। তাই এ ক্ষেত্রে নম্বর সাধারণত বাড়ে না। তবে অনেক পরীক্ষার্থীই চাইছিল, তাদের উত্তরপত্র আর এক বার মূল্যায়ন করুন পরীক্ষকেরা। এ বার সেই সুযোগও দিচ্ছে সিআইএসসিই বোর্ড।
বোর্ড জানিয়েছে, আইসিএসই এবং আইএসসি, দু’টি পরীক্ষার ক্ষেত্রেই এক-একটি বিষয়ে পুনর্মূল্যায়নের জন্য খরচ পড়বে ১৫০০ টাকা। উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে হবে ৩ জুন বেলা ১১টা থেকে ৫ জুনের মধ্যে। পুনর্মূল্যায়নের ফল বেরোবে ৫ জুন থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে। সেই ফলই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। কয়েক জন অধ্যক্ষ জানাচ্ছেন, পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করেন অন্য পরীক্ষক। যিনি প্রথমে সংশ্লিষ্ট খাতা দেখেছিলেন, তিনি দ্বিতীয় বার সেটির মূল্যায়ন করেন না।
পুনর্মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরেও কোনও পরীক্ষার্থী সন্তুষ্ট হতে না পারলে তাকে ‘ইমপ্রুভমেন্ট টেস্ট’ দেওয়ার সুযোগও দিচ্ছে সিআইএসসিই বোর্ড। আইসিএসই এবং আইএসসি, দু’ক্ষেত্রেই এক জন পরীক্ষার্থী সর্বাধিক দু’টি বিষয়ে ওই পরীক্ষা দিতে পারবে। ৫ জুন থেকে ১১ জুনের মধ্যে ইমপ্রুভমেন্ট টেস্টের জন্য আবেদন জানাতে হবে। তবে, কোনও পরীক্ষার্থী মূল পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে সে ইমপ্রুভমেন্ট টেস্ট দিতে পারবে না।
ইমপ্রুভমেন্ট টেস্টে প্রতি বিষয়ে পরীক্ষার খরচ পাঁচশো টাকা। যারা দেশের বাইরে থেকে ইমপ্রুভমেন্ট টেস্ট দেবে, তাদের বিষয়পিছু দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। এই পরীক্ষা হবে পয়লা জুলাইয়ের পরে। সময়সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সিআইএসসিই বোর্ড আরও জানাচ্ছে, যে দু’টি বিষয়ে ইমপ্রুভমেন্ট টেস্ট দেবে কোনও পরীক্ষার্থী, তার প্র্যাক্টিক্যাল বা প্রজেক্টের পরীক্ষা আবার হবে না। স্কুল ওই পরীক্ষার্থীকে প্র্যাক্টিক্যাল বা প্রজেক্টে যত নম্বর দিয়েছে, সেই নম্বরই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। ইমপ্রুভমেন্ট টেস্টের ফল বেরোবে পরীক্ষার এক মাস পরে। সেই পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর এবং মূল পরীক্ষা, অর্থাৎ বোর্ডের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে যেটি বেশি, সেই নম্বরই চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য হবে।