• সাংসদ খুনের তদন্তে হাসপাতালে সিআইডি
    আনন্দবাজার | ০১ জুন ২০২৪
  • বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের খুনের তদন্তে ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেল সিআইডি। সূত্রের খবর, সাংসদ ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতেন। সেই সংক্রান্ত খোঁজ নিতেই শুক্রবার তদন্তকারীরা সেখানে যান। তবে তাঁরা জানতে পেরেছেন, মে মাসে কলকাতায় আসার পর আনোয়ারুল আজিম ওই হাসপাতালে যাননি। তবে তার আগে এ বছর আরও দু’বার তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। সে সময় ওই হাসপাতালে বাংলাদেশি সাংসদ গিয়েছিলেন কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ করছে সিআইডি।

    বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে সিআইডি জানতে পেরেছে, গত ১৯ জানুয়ারি আনোয়ারুল কলকাতায় এসেছিলেন। ক’দিন পরে ফিরে যান। ১৮ মার্চ ফের এ দেশে আসেন। এক দিন থেকেই দেশে ফিরে যান তিনি।

    খুনের তদন্তে ধৃত কসাই জিহাদকেও ক্রমাগত জেরা করছে সিআইডি। সূত্রের খবর, সে নানা কথা বলে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে চাইছে। পুরো বিষয়টি সিয়াম নামে আরেক অভিযুক্ত সব জানে বলেও দাবি করছে সে। সিয়াম ঘটনার পর থেকে ফেরার। জিহাদ দাবি করেছে যে আমানুল্লার নির্দেশেই সিয়াম ঘটনার মাস দেড়েক আগে তাকে মুম্বই থেকে রাজারহাটে নিয়ে এসেছিল। সেখানে ‘মূল চক্রী’ আখতারুজ্জামানের একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল তাকে। বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া আমানুল্লা এবং শিলাস্তি রহমানের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও জিহাদকে জেরা করা হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি।

    সিয়ামের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে সিআইডি। তদন্তকারীদের অনেকেই প্রায় নিশ্চিত যে সিয়াম নেপালে লুকিয়ে রয়েছে। সিয়ামকে পাকড়াও করতে নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন সিআইডির কর্তারা। যদিও সরকারি ভাবে এ সব কিছুই স্বীকার করেনি সিআইডি।

    পুলিশের একাংশের মতে, সিয়াম বাংলাদেশি নাগরিক। সে দেশের পুলিশও তাকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চাইছে। নিয়ম অনুযায়ী, সিয়াম নেপালে গ্রেফতার হলে তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। এ দিকে, আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিন সম্পর্কে গোয়েন্দা জানতে পেরেছেন, অন্ধকার জগতের কিছু বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে আজিমের বিরোধ চলছিল। সেই কারণেই এই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)