• সময়ের পরেও কেন ‘প্রচার’, প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ
    আনন্দবাজার | ০১ জুন ২০২৪
  • নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো ভোটের প্রচার শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায়। তার পরেও মথুরাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার প্রচার চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবার দুপুরে মথুরাপুরের নালুয়া গ্রামে তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বেলা আড়াইটে নাগাদ নালুয়া গ্রামে যান বাপি। তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সময় পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও নিয়ম ভেঙে গ্রামে প্রচারে এসেছেন তিনি। স্থানীয় বিজেপি নেতা জয়দেব চাঁপাদারের অভিযোগ, ‘‘বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হলেও শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী দলবল নিয়ে তিনটি বুথে প্রচার সারেন। টাকার লোভ দেখান। ভোটারদের ভয় দেখান। গ্রাম থেকে বেরোনোর মুখে এলাকার মানুষ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। আধ ঘণ্টা ধরে আটকে থাকার পরে প্রার্থী ফিরে যান।’’

    এই অভিযোগ মানেননি বাপি। তাঁর দাবি, ‘‘আমার পিসি বেশ কয়েক দিন ধরে শয্যাশায়ী। প্রচারের কারণে তাঁকে দেখতে যেতে পারিনি। তাই দুপুরে পিসিকে দেখতে যাই। অন্যায় ভাবে গ্রামবাসীরা আমাকে ঘেরাও করেন।’’ যদিও জয়দেবের দাবি, ‘‘এই গ্রামের তিনটি বুথে প্রচার করেছেন উনি। তিনটি বুথেই নিশ্চয়ই ওঁর পিসির বাড়ি ছিল না।’’

    এ দিন অন্য একটি ঘটনায়, প্রচারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে, শুক্রবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলা, টাকার লোভ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিজেপি নেতা। গোলমালের মধ্যে পুলিশ এসে ওই নেতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় রাহার অভিযোগ, ‘‘প্রতি বার ভোটের আগে এই কাজ করে থাকে বিজেপি। এ দিন লোকজন হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন। এক বিজেপি নেতা ভোটের প্রচার করছিলেন।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নেতা দাবি করেন, তিনি মাঝেমধ্যেই এলাকায় আসেন। সে ভাবেই এসেছিলেন। ভোটের প্রচারে বা টাকা দিতে আসেননি।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)