• 'তিহাড়ে ব্যবস্থা খুব ভালো, ভোট হয়ে গেলেই আবার যেতে হবে ভিতরে'! কেজরিওয়ালকে নিয়ে দিলীপ...
    ২৪ ঘন্টা | ০১ জুন ২০২৪
  • অরূপ লাহা: টানা কয়েকদিনের বিরতির পর ফের স্বমেজাজে দিলীপ ঘোষ। আজ, শনিবার তিনি বর্ধমান শহরের  টাউনহলে প্রাতঃভ্রমণ সারেন। তারপর টাউনহলের মাঠে কচিকাঁচাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেন। এরপর তিনি কোর্ট কম্পাউণ্ডের রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাদামতলায় পৌঁছন। সেখানে তিনি চা-চক্রের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন একেবারে নিজস্ব ঢঙে।কেজরিওয়াল

    জেলযাত্রার পর থেকে তাঁর ওজন কমেছে, এখন বাইরে থেকেও বাড়ছে না ওজন। ভিডিয়োবার্তায় যখন এই দাবি করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, তখন তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের মেডিকেল রিপোর্টে অসঙ্গতি! কেজরিওয়ালের দাবি আর মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এই মন্তব্য ওয়াকিবহাল মহলের। জেলযাত্রা আটকাতে কি বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর, উঠছে প্রশ্ন। দিলীপ বলেন, না, ওজন তো বাড়বে যখন পার্মানেন্টলি জেলে থাকবেন।  তিহাড় জেলে খুব ভালো ব্যবস্থা আছে, ভোট হয়ে গেলে আবার যেতে হবে ভিতরে। ট্রিটমেন্ট, মাসাজ-- সবই আছে ওখানে, সব সুযোগ পাবেন এবং লম্বা সময় ধরে পাবেন, তার অপেক্ষা করুন। ভোটমুখী বসিরহাটে ভাইরাল অডিয়ো। সিপিএম নেতাকে হুমকির অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূলের হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতার।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর বেশি কিছু করতে পারবে না টিএমসি নেতারা। সমাজবিরোধী যদি নেতা হয় তাহলে এরকমই রাজনীতি হবে, সেটাই হচ্ছে। আমার মনে হয়, এখানকার মানুষ এর বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন।শিলিগুড়িতে জলসংকটগতকাল বামেদের পর আজ বিক্ষোভে BJP। শিলিগুড়িতে রাজনীতির 'জল'ঘোলা? আবর্জনার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হল জলের পাউচ! ক্যামেরা তাক করতেই দে-ছুট, মুখ লুকোনোর চেষ্টা পুরকর্মীদের। আবর্জনার গাড়িতে আসছে পানীয় জলের পাউচ, 'বেশি কিছু বলব না', চুপ পুরকর্মীরা! কাল আমিও ভিডিয়ো পোস্ট করেছি। আর দিল্লি এবং শিলিগুড়ির যাঁরা মোদিজীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে, বিরোধিতা করছেন, আন্দোলন করছেন, সেই ইণ্ডি জোটের সরকার যেখানে আছে, মানুষ সেখানে খাওয়ার জলটুকু পর্যন্ত পাচ্ছেন না। মোদীজি তো বাড়িতে চাল-ডাল থেকে আরম্ভ করে খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা-- সব করছেন। তো, তাঁরা কীসের অধিকারের মোদীজির বিরোধিতা করছেন? মানুষ সব দেখছে। জলের জন্য হাহাকার,লম্বা লম্বা লাইন, জলের গাড়িতে লোক উঠে যাচ্ছে। পাকিস্তানের আমরা দেখতাম আটার গাড়িতে উঠে যাচ্ছে লোকেরা, আটা নেই বলে! দিল্লিতে দেখুন, জল এসেছে, গাড়ির উপর চড়ছেন লোকজনেরা! লম্বা লম্বা লাইন পড়েছে বালতি নিয়ে, মারামারি হচ্ছে জলের জন্য! কেন এই দুর্দশা? এর পরেও কি মানুষ আপনাদের ভোট দেবেন?অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়আজ, শনিবার যে ৯ জায়গায় ভোট আছে, তার মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কেন্দ্রও আছে। সেখানে তৃণমূল বলছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে হ্যাটট্রিক করবেন! এ বিষয়ে দিলীপ 

    বলেন, হ্যাটট্রিক! হ্যাঁ ঠিক আছে,৪ তারিখ অবধি অনেকেই জিতে আছেন, ৪ তারিখের পর বিজেপি জিতবে সব জায়গায়। শেষ দিনের প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিলীপের নাম করে বলেছেন যে, এখানে দাঁড়ালেন না, চ্যালেঞ্জ করলেন। অথচ ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াতে পারলেন না। যার দম আছে পশ্চিমবাংলায় যে কোন জায়গায় জিততে পারে। দম থাকলে বেরিয়ে লড়ুন, জিতুন। কলকাতায় দাঁড়াতে পারতেন, বর্ধমানের আসতে পারতেন। একবার ওঁর পিসিমণি গিয়েছিলেন, কী দুর্দশা হয়েছে! মেদিনীপুরের লোক নাক-কান কেটে দিয়েছে। আর যাবেন না কোথাও, বুঝে গিয়েছেন, তাঁদের দাম কতটা। বাংলার বাইরে কোথাও পা রাখতে পারলেন না, হাজার হাজার কোটি টাকা খরচা করে একটা এমএলএ,  এমপি, একটা পঞ্চায়েতে জিততে পারলেন না , ত্রিপুরায় একটা কাউন্সিলার জিতেছিল, সেও দুদিন পর চলে গেল বিজেপিতে। তো, তাঁদের দম জানা আছে। আপনে ঘরমে তো কুত্তাভি শের হোতা হে। তৃণমূলে নবীন আর প্রবীণের দ্বন্দ্বনয় দফার পর সব দফারফা হয়ে যাবে। ৪ তারিখের পর দেখুন, দ্বন্দ্ব কাকে বলে, তখন তো ভাঙাগড়া শুরু হবে, দ্বন্দ্ব হবে না!সৌগত রায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে গেলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সেটা ওদের পার্টির ব্যাপার। কোথায় যাবে না যাবে, বুঝে গিয়েছেন, কোথাও কোনও চান্স নাই, নিজের জায়গা আগলে ছিলেন। আগে যেখানে প্রথম প্রচার করতে গিয়েছিলাম। উত্তরবাংলায় বিভিন্ন জায়গায় সেখানকার রেজাল্ট বোঝা গিয়েছে। সেই জন্য আর বেশি সময় নষ্ট করেননি, ঘর বাঁচাবার কাজে ব্যস্ত আছেন সবাই।বর্ধমানের ভোটের পর বিজেপির যাঁরা এজেন্ট ছিলেন তাঁদের টাকা পয়সা নিয়ে কোনো একটা সমস্যা দেখা দিয়েছেএ নিয়ে দিলীপ বলেন, কেউ কেউ প্রচার করেছেন। তবে, এটা পার্টির খবর নয়। এটা কোনও খবরই না। এই ধরনের লোক আমাদের পার্টিতেও অনেক দিন ধরে আছেন, তাঁরা পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করে পয়সা তোলেন, খান। এবার আর ব্ল্যাকমেইল করে কাজ হচ্ছে না। কারণ, এই ধরনের যাঁরা আড়কাটি এজেন্ট, যাঁরা দুদিকে পা রাখেন, তাঁদেরকে আর পাত্তা দেবে না বিজেপি। এঁদেরকে বাদ দিয়েই বিজেপি জিতছে।এসব ছাড়াও আরও নানা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি সন্দেশখালি, নরেন্দ্র মোদী, নরেন্দ্র মোদীর ধ্যান, কন্যাকুমারী, এআই ইত্যাদি নিয়েও কথা বলেন। সন্দেশখালি বিধানসভার বেড়মজুর অঞ্চলের ১৪৭ ও ১৪৮ নম্বর বুথে রাতভর পুলিসি তাণ্ডব বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালি বিধানসভার বেড়মজুর অঞ্চলের ১৪৭ ও ১৪৮ নম্বর বুথে রাতভর পুলিসি তাণ্ডবের অভিযোগ বিজেপির। তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালিয়ে ৬ জন বিজেপিকর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হলে দিলীপ জানান, এর আগের ফেজগুলিতেও পুলিসকে দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল। আমাদের কিছু আমাদের নেতা-কর্মীকে অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। কোথাও কোথাও সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবার চেষ্টা করা হয়েছিল,এটা বাড়ছে, আমি বলেছিলাম,যত ইলেকশন এগোবে, যত টিএমসি হারবে,হিংসা,পুলিশী অত্যাচার বাড়বে।সেগুলোই দেখা যাচ্ছে কিন্তু সাধারণ মানুষ মন ঠিক করে নিয়েছেন তারা ভোট দেবেন, ঠিক জায়গাতেই দেবেন,এটাই টিএমসির ভয়,তাই তারা শেষ চেষ্টাটা করছে, কলকাতার আশপাশ যেটা ওদের কোর এলাকা সেটা বাঁচাবার, আমার মনে হয় এবারে কেল্লাতে ধ্বস নেমে যাবে।বসিরহাটে বিজেপিপ্রার্থী রেখা পাত্র বলছেন, 'এই প্রথম নিজের ইচ্ছামতো ভোট দেব'!রেখা পাত্রের এই মন্তব্য নিয়ে দিলীপ বলেন-- (রেখা ) ঠিকই বলেছেন। আমাদের বর্ধমানেও বহু জায়গায় কয়েক বছর পরে লোকেরা নিজের মতো করে ভোট দিয়েছেন। সারা পশ্চিমবাংলায় এটা হয়েছে। বসিরহাট থেকে আরম্ভ করে মথুরাপুর এবং কলকাতার সব জায়গায় এটা হবে। সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন এবং নিজের ইচ্ছামতো ভোট দেবেন, পরিবর্তনের ভোট দেবেন, যাঁরা ওখানে গড় বানিয়ে রেখেছেম, ঘর আমরা তুলে দিয়েছি, ভেঙে দিয়েছি। এবার কলকাতার আশপাশের এই গড়কেও আমরা ভাঙব। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছেOpen AI-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। তা কমেন্টের মাধ্যমেই হোক, কিংবা ডিপ ফেইক ভিডিয়ো। এ ব্যাপারে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অনেক কিছু চক্রান্ত হয়েছে আগের থেকে, হাজার হাজার কোটি ডলার ইনভেস্ট হয়েছে। কিন্তু সব বেকার হয়ে যাবে। এর আগের ফেজগুলিই মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা রাষ্ট্রবাদের পক্ষে আছেন, তাঁরা মোদীজির পক্ষে আছেন। আজকের শেষ ফেজের ভোটেও সেটাই হবে। যে ভাবে শুরু হয়েছিল ভোট, সেভাবেই শেষ হবে। মোদীজি ৩৭০ আসন চেয়েছেন, মানুষ ওঁকে ওটা দেবেন। মোদীর ধ্যানে নিয়ে বিরোধীদের উষ্মা মোদীর ধ্যানে নিয়ে বিরোধীদের 'মেরুকরণ' সওয়াল। কমিশনে নালিশ কংগ্রেসের। তির্যক মন্তব্য ইন্ডি জোটের। এ ব্যাপারে দিলীপ জানান, সবকিছুতে নালিশ। মোদীজি কেন পরোটা খেলেন, তা নিয়ে নালিশ, মোদীজি কেন ধোকলা খেলেন, সেটা নিয়ে নালিশ। যদি বাংলায় এসে এখানকার খাবার খান, সেটাতেও নালিশ। সব ব্যাপারেই নালিশ। তো, নালিশ করবেন, না রাজনীতি করবেন? পাবলিকের কাছে যান না, সব সময় নির্বাচন কমিশন না হলে আদালত-- এটা লড়াই করার জায়গা নয়। লড়াই করার জায়গা হচ্ছে যেটা সাধারণ মানুষের সমাজ। যে যেখানে থাকেন, সেখানে লড়া উচিত। সে লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে। মোদিজি সেই লড়াই জিতে নিয়েছেন। তো, দেখা যাক! এইসব কমপ্লেনের কোনও মানেই হয় না। ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী কন্যাকুমারীতে গিয়েছেন, আমাদের লোকেরাই সেই বিশ্ববিখ্যাত সৌধ তৈরি করেছেন। যেটা ভারতের কাছে গৌরব। বিবেকানন্দ আড়াই দিন যেখানে ধ্যান করেছিলেন, সেটা আমাদের কাছে স্বাভিমানের প্রতীক। সেখানে মোদীজি গিয়ে দুমাস,তিনমাস, চারমাস প্রচার করেছেন, তাঁর নিজস্ব শক্তি সঞ্চয় করার জন্য, তপস্যা করার জন্য গিয়েছেন, তাতেও কষ্ট হচ্ছে। আপনারা তো কোনও দিন যান না, ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্মান করেন না, আপনাদের কান্নাকাটি করে কী হবে? আমার মনে হয়, এটা শেষ প্রয়াস করছেন ওঁরা। এই নির্বাচনে বিরোধীদের তো শক্তিপরীক্ষার সুযোগ থাকবে না, তাদের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)