লোকসভা ভোট শেষ হতেই ব্যারাকপুরে ফিরল ‘সন্ত্রাস’। ভাটপাড়া এবং নৈহাটিতে পর পর বোমা ফাটল রাতের অন্ধকারে। একটি বিজেপি কর্মীর বাড়ির পাশে এবং অন্যটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। বোমাবাজির কারণে রাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। একে অপরকে দোষারোপ করছে তৃণমূল এবং বিজেপি।
শনিবার মধ্যরাতে ভাটপাড়ায় বোমা পড়ে। ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের নির্বাচনী এজেন্ট প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের বাড়ির পাশের মাঠে কেউ বা কারা বোমা ফেলে চলে যান বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ, ভোট শেষ হতেই এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে শাসকদল।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কু বলেন, ‘‘রাতে আমরা ভোটগণনার কাজ করছিলাম। হঠাৎ ফোন আসে যে, আমার বাড়ির পাশে কেউ বাইকে করে এসে বোমা ফেলে চলে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করে বিষয়টি জানাই। এসে দেখি মাঠে বোমা পড়ে আছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতি এখন এটাই হয়ে গিয়েছে। বোমা, গুলি ছাড়া কিছু চলছে না। ভাবছে, এ সব করে আমাদের ভয় দেখাবে। আমি ভয় পাওয়ার লোক নই। তাই এ সব করে লাভ হবে না। আসলে বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই এ সব করছে। এলাকায় যত্রতত্র বোমা, গুলি ছড়িয়ে আছে। প্রশাসন কিছু করছে না।’’
একই ভাবে শনিবার রাতেই উত্তেজনা ছড়ায় নৈহাটিতে। সেখানে সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা পড়ে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাতের নিস্তব্ধ রাস্তায় বোমা ফাটছে। ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে গোটা রাস্তা। এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন কর্মকার বলেন, ‘‘ভোট শেষ হতে না হতেই ওরা ২০১৯ মনে করাতে চাইছে। সবাইকে ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দিতে চাইছে। আমরা ঘরে ঢোকার লোক নই। আমরা ময়দানে নেমে পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে গুন্ডাদমন করব। পুলিশ এসেছে। ফুটেজ দেওয়া হয়েছে তাদের। বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখছে।’’