ডায়মন্ড হারবারে পুনর্নির্বাচন চাই, ভোট শেষ হতেই দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর
আনন্দবাজার | ০২ জুন ২০২৪
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ৩০০-র বেশি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট সমাপ্ত হওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানেই তিনি এই দাবি করেন।
সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “হরিয়ানা, বিহারে এ রকম দেখা যেত। এ বার এখানে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। আপনারা আজ দেখেছেন কী ভাবে রেখা পাত্র, শীলভদ্র দত্ত থেকে শুরু করে অশোক পুরকাইতকে পরিকল্পিত ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে বুথ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময়। আপনারা ডায়মন্ড হারবারে দেখেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও পদক্ষেপ করতে না দিয়ে রাজ্য পুলিশ চার ঘণ্টা ধরে আমাদের প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে ফলতায় রাস্তার উপরে আটকে রেখেছে। যাতে তিনি অন্য কোনও বুথে যেতে না পারেন। এবং এক সাংবাদিক বন্ধু-সহ সারা দিনে আহতের সংখ্যা শতাধিক। বেশির ভাগ প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরে গেলেও ৪০ থেকে ৫০ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।” এর পরেই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ৩০০-র বেশি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন শুভেন্দু। ফলতায় ২৩০টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। বজবজ, মহেশতলা বিধানসভা এলাকার বহু বুথেও পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। জয়নগর, ক্যানিং পূর্বের বেশ কিছু বুথেও পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন তিনি। যাদবপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড়-১ ব্লকের বেশ কয়েকটি বুথেও পুনর্নির্বাচনের দাবি শুভেন্দুর।
শেষ দফার ভোটে ডায়মন্ড হারবার থেকে বেশ কিছু অশান্তির খবর সামনে আসে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের আটকৃষ্ণ রামপুরের ২৭১ নম্বর বুথের ভুয়ো এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দেন প্রিসাইডিং অফিসার। বুথের বাইরেই সেই এজেন্টের সঙ্গে হাতাহাতি হয় সিপিএম প্রার্থী প্রতীক-উর রহমানের। এর পরই মুখ লুকিয়ে পালান সেই ভুয়ো এজেন্ট। প্রতীক-উরের অভিযোগ, ওই ভুয়ো এজেন্ট আদতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা। বুথের ভিতরে সিপিএম এজেন্ট হিসাবে বসেছিলেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারে বজবজ বিধানসভার বাদামতলা স্কুলের ৫২ এবং ৫৩ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে মেরে বার করে দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। ওই বিজেপি এজেন্টের সমস্ত কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এ ছাড়াও সারা দিনে নানা জায়গা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসে। তার পরেই পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন শুভেন্দু।