• বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভোট, দাবি সংস্থার
    আনন্দবাজার | ০২ জুন ২০২৪
  • সব রেকর্ড ছাপিয়ে ভারতের চলতি লোকসভা ভোট বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন হয়ে উঠেছে বলে দাবি করল ‘সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ়’। তাদের হিসাব অনুযায়ী, চলতি নির্বাচনে খরচ হয়েছে ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। সেই হিসাবে প্রতি ভোট সংগ্রহের খরচ ছিল ১,৪০০ টাকা। খরচের বহরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে চলতি লোকসভা ভোট। ২০২০ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খরচ হয়েছিল ১.২০ লক্ষ কোটি টাকা।

    ‘সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ়’-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে খরচ হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা। তাদের মতে, বিজেপি থেকে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, ভোটারদের মন জয়ে খরচের তোয়াক্কা করছে না কেউই।

    প্রার্থীদের খরচের সীমা বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০২২-র আগে পর্যন্ত প্রতি সাংসদ পদপ্রার্থী ৯৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারেন। বিধায়ক পদপ্রার্থী খরচ করতে পারতেন রাজ্য ভেদে ২৮-৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। অরুণাচল প্রদেশের মতো ছোট রাজ্যে সাংসদ পদপ্রার্থীরা খরচ করতে পারতেন ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ওই রাজ্যগুলিতে বিধায়ক পদপ্রার্থীরা খরচ করতে পারতেন ২৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ২০০২ সালে মূল্যবৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে এই সীমা বাড়ানো হয়।

    কিন্তু রাজনৈতিক দলের খরচের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও খরচের সীমা প্রযোজ্য হয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে হওয়া জনসভা, রোড শো, বিজ্ঞাপন ও পরিবহণ সংক্রান্ত খরচের ক্ষেত্রে।

    ‘সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ়’ জানিয়েছে, ১৯৫১-৫২ সালের ভোটের সঙ্গে তুলনা করলে খরচের সীমার বৃদ্ধি হয়েছে ৩০০ গুণ। তখন এক জন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা খরচ করতে পারতেন।

    স্বচ্ছতা আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে কমিশনের কাছে বাৎসরিক অনুদান সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হয়। সেখানে ২০ হাজার টাকার বেশি অনুদানের তথ্য জানায় তারা। সেই সঙ্গে প্রতি বছরের হিসাব (অ্যানুয়াল অডিটেড অ্যাকাউন্টস) ও ভোটের ৭৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী খরচের হিসেব পেশ করে দলগুলি। তা প্রকাশিত হয় কমিশনের ওয়েবসাইটে। কিন্তু ‘সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ়’-এর দাবি, তা সত্ত্বেও হিসাব-বহির্ভূত উপহার, টাকা, সোনা দিয়ে ভোটারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বাড়ছে প্রতি নির্বাচনেই।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)