গণনার আগে তৃণমূলের প্রার্থী ও জেলা সংগঠনের নেতাদের নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠকে সেনাপতি অভিষেক
আনন্দবাজার | ০২ জুন ২০২৪
২৪ ঘণ্টা আগে শেষ হয়ে গিয়েছে শেষ দফার ভোট। এখন সব রাজনৈতিক দল প্রস্তুতি শুরু করেছে গণনা পর্বের। সেই পর্যায়ে রবিবার বিকেলে এক জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিকেল ৫টায় ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই বৈঠক করবেন। বৈঠকে যোগদান করতে বলা হয়েছে ৪২টি লোকসভার প্রার্থী, জেলা সভাপতি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। শনিবার ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর দেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির বুথফেরত সমীক্ষায় ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র ক্ষমতায় আসার পূর্বাভাস মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আগের থেকে অনেক ভাল ফল করবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। সেই বুথফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর অভিষেকের এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক কেউই বুথফেরত সমীক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনুযায়ী বেশির ভাগ লোকসভা আসনে জোড়া ফুল ফুটবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু যে কোনও ভোটের গণনা পর্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই সাংগঠনিক ভাবে দল কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে, সেই বিষয়ে জানতেই বৈঠকে বসছেন ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে ডায়মন্ড হারবারে একঝাঁক বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছে বিজেপি। পদ্মশিবিরের এমন দাবি নিয়ে বৈঠকে অভিষেক কোনও মন্তব্য করেন কি না, সে দিকেই তাকিয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, বুথফেরত সমীক্ষাকে ‘ফেক’ বা ভুয়ো বলে অভিহিত করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তৃণমূল কর্মীদের শক্ত থাকার বার্তা দিয়ে ‘টিভি নাইন’ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূলনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের রাজ্য নিয়ে যেটা দেখাচ্ছে, তাকে আমি বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করি না। এটা একেবারে ভেগ, একেবারে ফেক।’’ তিনি আরও বলেন ‘‘সংবাদমাধ্যম কী করে বলে দিচ্ছে, ওই আসনে ও জিতবে, অমুক আসনে কে জিতবে... কত টাকার বিনিময়ে? আমি এই সংবাদমাধ্যমের হিসাব মানি না। কর্মীদের বলব শক্ত থাকতে। গণনা ভাল করে করতে। যা দেখিয়েছে সংবাদমাধ্যম, তার দ্বিগুণ পাব। প্রত্যেকটা আসন আমরা জিতব।’’ তবে রাজ্যে তৃণমূল ঠিক কতগুলি আসন পাবে, সেই সংখ্যা সংক্রান্ত বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাননি মমতা। সেই প্রশ্নে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আমি কোনও নম্বরে যাব না। কিন্তু একটা কথা আপনাদের বলতে পারি, আমরা যে ভাবে মাঠে-ময়দানে নেমে কাজ করেছি, লোকের চোখ দেখেছি, তাতে আমার কখনও মনে হয়নি যে, মানুষ আমাদের ভোট দেবেন না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়ার পর অভিষেক দলীয় প্রার্থী ও তাঁদের কী বার্তা দেন, সে দিকেই তাকিয়ে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা।