রমেন দাস: লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ থেকে ভোটগণনা ? এই সংক্ষিপ্ত সময়ের কাজ বলতে এক্সিট পোল, তার হিসেবনিকেশ এবং বিশ্লেষণ, রাজনৈতিক তরজা। বুথফেরত অধিকাংশ সমীক্ষা বলছে, চব্বিশের ভোটেও বামেদের শূন্যস্থান পূরণ হবে না, অন্তত বাংলায়। এবারও তৃণমূল-বিজেপির একপেশে লড়াই প্রায়। ৪২ আসনের মধ্যে বাম-কংগ্রেস সর্বোচ্চ একটি আসন পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সমীক্ষা। এইসব এক্সিট পোলকে (Exit Poll) যদিও ফুৎকারে উড়িয়েছে বিরোধী শিবিরগুলি। ব্যতিক্রম নয় কাস্তে-হাতুড়ি-তারার যোদ্ধারাও। পক্ককেশ কমরেড থেকে তরুণ তুর্কী, সকলেরই বক্তব্য, এক্সিট পোল নয়, মানুষই আসল কথা বলবে। আর তা বোঝা যাবে ৪ জুন।
দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) কথায়, ?একেকজন একেক রকম হিসেব দেখাচ্ছেন, আগেও এসব হয়েছে মেলেনি। মানুষের স্বাধীন মনোভাবের প্রতিফলন যদি ইভিএমে হয়, তাহলে বিজেপি-তৃণমূলের হাল ভালো নয়।? বুথ ফেরত সমীক্ষাকে আমল দিতে নারাজ শ্রীরামপুরে লাল পার্টির যোদ্ধা দীপ্সিতা ধর। শ্রীরামপুরের সিপিএম (CPM) প্রার্থী বলছেন, ?পরীক্ষা দিয়েছি, কাউকে টুকলি করতে দিইনি। জনতা পরীক্ষক। তাঁরা যা নম্বর দেবেন, মাথা পেতে নেব। আমরা ছাত্র ভালো, ফেল করবো না।? তমলুকের (Tomluk) বামপ্রার্থী তথা তরুণ আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ?এই মিডিয়াগুলোর সমীক্ষা দেখে মনে পড়ে যায়, ঐশ্বর্য রাইয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সলমন খানের সঙ্গে, ঐশ্বর্য রাইয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গেও। কিন্তু বাস্তবে ঐশ্বর্য রাইয়ের বিয়ে হয়েছে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে। তাই, এই এক্সিট পোলের সঙ্গে বাস্তবের দূর দূর কোনও সম্পর্ক নেই।?
নির্বাচনের দিন ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) বারবার সরব হয়েছেন প্রতীক উর রহমান। রাতদুপুরে কলকাতায় এসেছেন কমিশনে অভিযোগ জানাতে। প্রতীক উরের কথায়, ?শূন্য তো আমরা একুশ থেকে আছি। তার পরও তো লড়েছি। কোভিডের (COVID-19) সময় আমরাই ছিলাম রেড ভলান্টিয়ার। সংখ্যা তো আপেক্ষিক মাত্র। আমরা যাঁরা বামপন্থী রাজনীতিতে এসেছি, এসব আমাদের গায়ে দাগ কাটে না। এসব মিলে যায় কখনও, আবার কখনও মেলে না। সবচেয়ে বড় এক্সিট পোল তো মানুষের রায়। যদি তাঁরা স্বাধীনভাবে নিজেদের রায় দিতে পারেন।?
প্রতীক উর, দীপ্সিতাদের সুরেই এক্সিট পোলকে গুরুত্বহীন বলছেন হাওড়ার সিপিএম প্রার্থী তথা আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলছেন, ?সাংবাদিকতার জগতে খ্যাতনামী রবিশ কুমার দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে এক্সিট পোল হয়। এসব মোদি-বিজেপি ঝড় তোলার চেষ্টা। আসলে কিছুই নয়। মানুষের উপর ভরসা রয়েছে। শেষ সিদ্ধান্ত নেবে জনতা।?