মথুরাপুর এবং ডায়মন্ড হারবারের কয়েকশো বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি
আনন্দবাজার | ০৩ জুন ২০২৪
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ৪০০-র বেশি বুথে এবং মথুরাপুর কেন্দ্রের ১২টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল পদ্মশিবির। বিজেপির দাবি, ওই বুথগুলিতে ভোটগ্রহণ স্বচ্ছ ভাবে হয়নি। অনেক বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো ভোটও পড়েছে অনেক বুথে। কোনও কোনও বুথে কারচুপি হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। আর সেই কারণেই ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ওই দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর তরফে কমিশনে এই আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া।
বিজেপির তরফে যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতার সব ক’টি বুথ। বজবজ, মহেশতলা বিধানসভা এলাকারও বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে মথুরাপুর কেন্দ্রের সাগরের একাধিক বুথেও।
উল্লেখ্য, সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ শেষের পরে পরেই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ৩০০-র বেশি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানেই তিনি ওই দাবি করেন।
সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেছিলেন, “হরিয়ানা, বিহারে এ রকম দেখা যেত। এ বার এখানে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। আপনারা দেখেছেন কী ভাবে রেখা পাত্র, শীলভদ্র দত্ত থেকে শুরু করে অশোক পুরকাইতকে পরিকল্পিত ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে বুথ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময়। আপনারা ডায়মন্ড হারবারে দেখেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও পদক্ষেপ করতে না দিয়ে রাজ্য পুলিশ চার ঘণ্টা ধরে আমাদের প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে ফলতায় রাস্তার উপরে আটকে রেখেছে। যাতে তিনি অন্য কোনও বুথে যেতে না পারেন। এবং এক সাংবাদিক বন্ধু-সহ সারা দিনে আহতের সংখ্যা শতাধিক। বেশির ভাগ প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরে গেলেও ৪০ থেকে ৫০ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।” এর পরেই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন শুভেন্দু। এ বার এই নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি।