• দক্ষিণে বর্ষা কবে? বৃষ্টি কি ভেস্তে দেবে ভোট গণনা?
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ জুন ২০২৪
  • অয়ন ঘোষাল: উত্তরে বৃষ্টি চলবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি কোথাও কোথাও। দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তি বহাল। আজও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ খুব সামান্য হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টি না হলে ঘর্মাক্ত অস্বস্তি আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা। 

    দক্ষিণে কবে আসবে বর্ষা?

    এখনও আশার বাণী নেই হাওয়া অফিসের। রেমালের টানে উত্তরবঙ্গে তড়িঘড়ি বর্ষা ঢুকে পড়লেও আপাতত থমকে একই জায়গায়। হিমালয় লাগোয়া কোচবিহার জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার সংলগ্ন এলাকায় বর্ষার প্রভাব। পার্শ্ব প্রভাব পাহাড়ে। উত্তরের সমতলে অর্থাৎ মালদা ও দুই দিনাজপুরে এখনও মৌসুমী বায়ু নিজের প্রভাব বিস্তারে ব্যর্থ। ৩১ মে থেকে একই জায়গায় থমকে মৌসুমী অক্ষরেখা। 

    সিস্টেম

    একটি অক্ষরেখা রয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে থেকে আসাম পর্যন্ত। যেটি ঝাড়খন্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, অরুণাচল প্রদেশে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে।  পূর্ব মধ্য ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এটি দক্ষিণ দিকে ঝুঁকে রয়েছে। 

    দক্ষিণবঙ্গ


    তাপমাত্রা সেভাবে না বাড়লেও জলীয় বাষ্পের দাপটে আজ দিনভর অসহ্য অস্বস্তিতে কাটবে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। সকাল থেকে ঘাম আর প্যাচপ্যাচে গরম। ঝড়বৃষ্টিতে সামান্য সাময়িক স্বস্তি মিলতে পারে বিকেল বা সন্ধের দিকে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা খুব একটা বেশি নয়। সমতলের তুলনায় আজ উপকূলের কয়েকটি জেলায় আজ বিকেলের পর হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যার গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। সোমবার উপকূলের চার জেলার পাশাপাশি বাঁকুড়া ও নদিয়া জেলাতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস। মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন উপকূলের জেলার সঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায়।

    উত্তরবঙ্গ

    জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি সতর্কতা। বৃষ্টি হতে পারে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দমকা ঝড়। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে ভারী বৃষ্টি চলবে আগামী তিন চার দিন। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাসের পূর্বাভাস। বৃষ্টি হতে পারে ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই ভারী বৃষ্টি চলবে চার-পাঁচ দিন।

    কলকাতা

    বিকেল বা সন্ধের পর স্থানীয় বর্জ্রগর্ভ মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎসহ খুব হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সময় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টি হওয়ার আগে পর্যন্ত আজ দিনভর কলকাতা চূড়ান্ত ঘর্মাক্ত পরিস্থিতির মধ্যে কাটাবে। দুপুরের দিকে অস্বস্তি চরম পর্যায়ে যেতে পারে। 

    পরিসংখ্যান

    রাতের তাপমাত্রা ২৮.২ ডিগ্রি থেকে সামান্য কমে ২৭.৯ ডিগ্রি। গতকাল দিনের তাপমাত্রা ৩৩.৫ থেকে সামান্য বেড়ে ৩৪.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৬ থেকে ৯২ শতাংশ। 

    দেশের অন্যান্য রাজ্য

    ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কেরল, মাহে, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হবে আসাম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে। তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমবে রাজস্থান হরিয়ানা দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে। তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা থাকবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লিতেও গরম রাতের সম্ভাবনা। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দিল্লি, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, কঙ্কন, গোয়া, সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)