• ভোট-পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে সরব সুকান্ত
    আনন্দবাজার | ০৩ জুন ২০২৪
  • ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি বালুরঘাটের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের স্থায়িত্বকাল নিয়েও তিনি কমিশনের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

    রবিবার বালুরঘাটে সুকান্ত অভিযোগ করেন, ‘‘বসিরহাট, নদিয়া, এমনকি কদক্ষিণ কলকাতায়ও ভোট-পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে।’’ নদিয়ার কালীগঞ্জে দলীয় সমর্থক খুন, কর্মীদের মাথা ফাটানো, ধমকানো শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও আক্রান্ত জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি করেন সুকান্ত। তিনি জানান, বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। সময় আসন্ন বুঝতে পেরে তৃণমূল মরিয়া বলে সুকান্ত অভিযোগ করেন। বালুঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, "রাজ্যে হিংসার কোন‌ও জায়গা নেই। সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে।" কিন্তু অঙ্কের হিসেবে রাজ্যে বিজেপির সাফল্যের দাবির সঙ্গে তিনি একমত ন‌ন বলে বিপ্লব দাবি করেন।

    ভোটের পরে এ রাজ্যে ১৫ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত বলেন, "ভোটের পরে রাজ্যে এক মাস কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখতে হবে বলে আমরা নির্বাচন কমিশনকে দাবি জানিয়েছিলাম।’’ তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন থানায় বসে না থাকে এবং এসপিদের হাতে নিয়ন্ত্রণে না রেখে গণনা ও তার পরে বাহিনীকে সক্রিয় রাখতে হবে বলে সুকান্ত দাবি করেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল অভিযোগ করেন, ‘‘লোকসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই এ রাজ্যের সমস্ত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার অনন্য নজির তৈরি করেছে। তার পরেও সুকান্তবাবু ভরসা পাচ্ছেন না।’’ বিজেপির ভোট-পরবর্তী সমীক্ষায়ও সুকান্তবাবুদের আস্থা নেই বলেই তিনি ওই মন্তব্য করেছেন বলে সুভাষ কটাক্ষ করেন। এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি গুন্ডা মাস্তানদের বলতে চাই যে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। ক্ষমতায় আসার পরে বিজেপির নেতাকে ধরে, পতাকা, ঝান্ডা ধরে এলেও কিন্তু তারা বাঁচবে না।’’ পুরো উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট হবে বলে তিনি দাবি করেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)