• এজেন্ট পাঠাতে কারও ভরসা অভিজ্ঞতা, কেউ চাইছেন তরুণ মুখ
    আনন্দবাজার | ০৩ জুন ২০২৪
  • ভোট-পর্ব মিটেছে। আগামী কাল, মঙ্গলবার ভোট গণনার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। পঞ্চায়েত ভোটের গণনায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। সে কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধীরা। তৃণমূলের কারও কারও অভিযোগ, এ বারের গণনায় কারচুপি করতে পারে বিজেপি। তাই সব মিলিয়ে গণনার দিন এজেন্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে সব পক্ষ। সে কথা মাথায় রেখেই চলছে এজেন্ট বাছাইয়ের কাজ।

    জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনায় তৃণমূলের এজেন্ট কে হবেন, তা ঠিক করবেন ওই লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকার বিধায়কেরা। রবিবার এমনই জানালেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। বললেন, “আমি চাই, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, আগেও এই গণনা কেন্দ্রের এজেন্ট হয়েছেন, এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। যিনি গণনা কেন্দ্রে প্রখর দৃষ্টি রেখে লড়াই করতে পারবেন।” ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারী বলছেন, “তরতাজা যুবকদের এজেন্ট করা হচ্ছে। শাসকদল যাতে গণনা কেন্দ্রে চালাকি করতে না পারে, সে দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখাই মূল লক্ষ্য।” অন্য দিকে, বামেরা মূলত ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠনের সদস্যদের এজেন্ট হিসাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী সমরেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, “দলে নতুন মুখ প্রচুর। তাঁদেরই মূলত গণনা কেন্দ্রের এজেন্ট হিসাবে বাছা হচ্ছে।”

    যাদবপুর কেন্দ্রেও বামেদের ভরসা তরুণ তুর্কিরা। ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “কাদের এজেন্ট করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে দলে যোগ দেওয়া নতুন ছেলেমেয়েদের উপরে ভরসা রাখতে পারি।” আইএসএফ এই কেন্দ্রে এজেন্ট হিসাবে রাখতে চাইছে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী তথা অভিজ্ঞদের। বিশেষত আইনজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসকদের এজেন্ট করতে চাইছে তারা। আইএসএফ প্রার্থী নুর আলম খান বলেন, “গণনা কেন্দ্রে যাতে কারচুপি না হয়, সে জন্য অভিজ্ঞ, শিক্ষিত মানুষকেই এজেন্ট করতে চাই।” তৃণমূল জানিয়েছে, এই কেন্দ্রে দলের অনুগত সৈনিকদের উপরে ভরসা রাখছে তারা। বিশেষত, অভিজ্ঞ ও অতীতে বিভিন্ন গণনায় অংশগ্রহণ করেছেন— এমন কর্মীদেরই এজেন্ট করা হচ্ছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)