• নন্দীগ্রামের বয়ালে তৃণমূলের কর্মিসভায় উপচে পড়া ভিড়
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের সেই বয়ালে তৃণমূলের কর্মিসভায় উপচে পড়ল ভিড়। বিধানসভা নির্বাচনে এই বয়ালের বুথে গোলমালের খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বয়াল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ডাকবাংলো মাঠে তৃণমূলের কর্মিসভা ছিল। রেয়াপাড়া থেকে তেরপেখ্যা যাওয়ার রাস্তা সংলগ্ন ওই মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।  তৃণমূল কর্মীদের ভিড় ছিল কানায় কানায়। বিধানসভা ভোটে গেরুয়া পতাকা বয়ে বেড়ানো বিজেপির বহু কর্মী শিবির বদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এদিন তাঁদেরও শাসক দলের কর্মিসভায় দেখা যায়। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তাকে সামনে রেখে নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতে কর্মিসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এদিন প্রথম কর্মিসভা হল বয়াল থেকেই। ছিলেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ ছাড়াও জেলা সভাপতি তথা রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সৌমেন মহাপাত্র প্রমুখ। 

    এদিন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রথমে বয়াল-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হন। তাঁদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক সারেন শীর্ষনেতারা। বিধানসভা ভোটে বিজেপির সেই দাপট এখন উধাও বলে বয়ালের তৃণমূল নেতারা রিপোর্ট দেন। এই মুহূর্তে দুই পঞ্চায়েত এলাকার কর্মীরা উজ্জীবিত। তার রেশ ধরেই এদিন কর্মিসভায় রাজ্য স্তরের নেতারা বয়ালের নেতা-কর্মীদের পঞ্চায়েতের প্রস্তুতির জন্য ঝাঁপানোর নির্দেশ দেন। 

    এদিনের সভায় কুণাল ঘোষ বলেন, নন্দীগ্রামে একাধিক পুরনো বিজেপি নেতাকর্মী এখন তৃণমূলে ফিরছেন। একসময় তাঁদের শত্রু ছিল অধিকারীরা। তাই এখন তাঁরা তৃণমূলে আসছেন। আমরা নতুন, পুরনো, প্রবীণ ও নবীন সকলকে নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সৌজন্যে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, ওষুধ, সার সহ অপরিহার্য নিত্য সামগ্রীর দাম বাড়ছে। ব্যাঙ্কের সুদ কমছে। এরা আবার কৃষক দরদি? উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছেন। ওরা এই সব সামাজিক সুরক্ষার প্রকল্পকে কটাক্ষ করে বলছে, খয়রাতির সরকার। এখান থেকে নজর ঘুরিয়ে হিন্দু-মুসলিম করা হচ্ছে। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ধর্ম খুঁজতে যাবেন না। 

    এদিনের সভায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যেদিন দল ছেড়েছিলাম সেদিন আমার চোখে জল ছিল। নেত্রীর ছবি আমার সঙ্গে ছিল। মানুষ ভুল করে। আমিও নিশ্চিতভাবে ভুল করেছি।  ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে শোধরালে ঈশ্বরও ক্ষমা করেন। কিন্তু, ভুলকে ফুল ভেবে রাঙাফুল হয়ে ঘুরে বেড়ালে আগামীদিনে তাঁকে নন্দীগ্রাম কেন বাংলার মানুষ ক্ষমা করবেন না।

    সৌমেনবাবু বলেন, ২০১৯ সাল থেকে সিপিএম ভোট বিক্রি করছে। কংগ্রেস ক্ষয়িষ্ণু দল। তারাও নিজেদের বন্ধক দিয়েছে। অবৈধ জোট করে ওরা প্রার্থী দেবে। তাই আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)