• মিষ্টিতেও রাজনীতির রং! কাস্তে হাতুড়ি তারা আর দুই ফুলের সহাবস্থান...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ জুন ২০২৪
  • ভবানন্দ সিংহ ও মৃত্যু্ঞ্জয় দাস: এক্সিট পোলের প্রভাব এবার মিষ্টিতেও। দুই ফুলের লড়াই দেখা গেল চোপড়ার মিষ্টির দোকানেও। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কালাগছে ওই মিষ্টির দোকানে তৃণমূল ও বিজেপির প্রতীকের সন্দেশ তৈরি হয়েছে। যা দেখতে ও খেয়ে পরখ করতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন দুই রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা কর্মীরা। দুই দলেরই আত্মবিশ্বাস দার্জিলিং লোকসভার অধীন চোপড়া বিধানসভাতে তাদের দল এগিয়ে থাকবে। তাই মিষ্টিমুখ করাতে নিজেদের প্রতীকের এই মিষ্টিই সবার মধ্যে বিতরণ করা হবে। 

    তবে শুধু রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাই নন। সাধারণ মানুষও দোকানে এসে মিষ্টি চেখে দেখছেন। তবে তাদের দাবি, নিছকই কৌতুহল, মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই, বরং নিছকই কৌতুহল বশতই তারা এই মিষ্টি খেয়ে দেখছেন বলে জানান। অন্যদিকে, শুধু বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকেরই মিষ্টি কেন, অন্য কোনও দলের মিষ্টি কেন বানাননি? সেই প্রশ্নের উত্তরে দোকানদারের স্পষ্ট জবাব, এক্সিট পোল দেখে তিনি উৎসাহিত হয়েই এই দুই প্রতীকের মিষ্টি তৈরি করেছেন।ব্যবসায়ীক চিন্তাভাবনায় এক্সিট পোল অনুযায়ী, এই দুই দলেরই লড়াই হবে, তাই এই দুই দলের কর্মীদের মধ্যেই মিষ্টি কেনার আগ্রহ থাকবে ধরে নিয়েই এই দুই প্রতীকের মিষ্টি তৈরি বলে তার দাবি। তবে রাত পোহালেই গণনা। তাতে শেষ হাসি কে হাসবে তা তো সময়ই বলবে। আর কোন দলের মিষ্টির চাহিদা থাকবে তুঙ্গে তাও ৪ জুনই প্রকাশ পাবে।অন্যদিকে, বাঁকুড়া জেলার দু'টি কেন্দ্রেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এ কথাকে মাথায় রেখেই জুন বেদিয়ার ওই মিষ্টির দোকানে শোভা পাচ্ছে বিজেপি, তৃণমূল আর সিপিআইএমের প্রতীক চিহ্ন যুক্ত মিষ্টি। নিজেদের রাজনৈতিক বিশ্বাস মতো নিজেদের পছন্দের প্রতীক চিহ্ন যুক্ত মিষ্টি কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারাও। ওই মিষ্টির দোকানের মালিক জয়দেব বরাট বলেন, ভোট আবহে আমরা মিষ্টির মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কম-বেশী সব প্রতীকযুক্ত মিষ্টি বিক্রি আছে, তবে এই মুহূর্তে পদ্মফুল যুক্ত মিষ্টির চাহিদাই সব থেকে বেশী। তবে এতো সবের পরেও মূলত খোয়া ও সন্দেশের সঙ্গে 'সার্টিফায়েড রং' ব্যবহার করেই এই মিষ্টি যে তৈরি তা জানাতে ভোলেননি তিনি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)