সুরক্ষিত নয় কেউ, মহিলা সাংসদের বাড়িতেও পড়ল ডাকাত
২৪ ঘন্টা | ০৪ জুন ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : এমপির ঘরের নিরাপত্তার যদি এই হাল হয় তাহলে সাধারণ মানুষের বাড়ির নিরাপত্তার কী হবে? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। চুরি হয়ে গেল সাংসদ মাহফুজা সুলতানা মালির বাসায়। ধরে তালা ভেঙে আলমারি তছনছ করে পুলিস লুটে নিয়ে গেল সবকিছু। রাবিবার রাতে চুরি হয়েছে বাংলাদেশের জয়পুরহাট সংরক্ষিত আসনের সাংসদ মাহফুজার আক্কেলপুর পুরসভার পূর্ব আমুট্টু মহল্লার বাড়িতে।
পুলিস সূত্রে খবর, চোররা গ্রিল ভেঙে মাহাফুাজার বাড়িতে প্রবেশ করে। তার পর তাঁর নীচেরতলা ও দোতলার মোট ৫টি ঘর তোলপাড় করে। নিয়ে যায় বেশকিছু গহনা ও নগদ টাকা। সোমবার সকালে থানা-পুলিস ও জেলা পুলিসের গোয়েন্দা শাখা সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানার চুরি যাওয়া বাড়ি ঘুরে দেখে। পুলিস চুরির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে।মাহফুজা সুলতানা মলির পূর্ব আমুট্ট মহল্লার বাসায় গিয়ে দেখা যায় বাসার দ্বিতীয় তলার ব্যালকনির গ্রিলের কয়েকটি জায়গা ভাঙা হয়েছে। দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙা দেখা গেছে। ঘরের মেঝেতে কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। পুলিসের পরির্দশক শাহেদ আল মামুনের নেতৃত্ব একটি দল পরির্দশন করছিলেন।সংসদ মাহফুজা সুলতানা মলি ঢাকায় থাকেন। তিনি এক প্রতিবেশীকে বাসা দেখভালের দায়িত্বে রেখেছেন। গতকাল রাতে প্রতিবেশীর ছেলে ও ছেলের বউ সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানার বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে ছিলেন। আজ সকালে তারা স্বামী-স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে বাহিরে বাথরুমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাহির থেকে তাদের ঘরের দরজার সিটকিনি বন্ধ থাকায় তারা বিকল্প দরজা দিয়ে বাইরে এসে দেখেন নিচতলার ঘরের দরজার সিটকিনি ভাঙা ও ভেতরে আসবাবপত্র তছনছ। এরপর তারা প্রতিবেশী ও স্বজনদের খবর দেন। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা এসে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে তিনটি ও নিচতলার দুটি কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙা ও জিনিসপত্র মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।ব্যালকনির গ্রিলের কয়েকবার ভাঙা হয়েছে। তারা ভিডিও কলের মাধ্যমে সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানাকে তার বাসার প্রতিটি কক্ষ ঘুরে দেখান। মাহফুজা সুলতানা তাদের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ হোসেন বলেন, রোববার রাতে আমার ওয়ার্ডের পূর্ব আমুট্ট মহল্লার বাসিন্দা সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানার বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। আজ সকালে এ ঘটনা জানতে পেরে তার বাসায় গিয়েছিলাম। বাসার দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষ ও নিচ তলায় সংসদ সদস্যের ছেলে দ্বীপের শয়ন ঘরের দুটি কক্ষের আসবাবপত্র ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষের আলমারিতে এক লাখ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার ও নিচতলার ছেলের কক্ষ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা থাকার কথা সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানা আমাকে জানিয়েছেন। আমরা সেই টাকা ও স্বর্ণালংকার পাইনি।