• পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার পর খন্দে ভরেছে রাস্তা, এলাকায় উড়ছে ধুলো
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কয়েক মাস আগেই পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার কাজ শেষ হয়েছে। তুলে ফেলা হয়েছে উড়ালপুলের সব পিলার। ব্রিজের ভগ্নাবশেষও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু স্ট্র্যান্ড রোড ও বিবেকানন্দ রোডের ওই অংশে যে গর্ত, খানাধন্দ তৈরি হয়েছিল, তা সেভাবেই রয়ে গিয়েছে। তার উপর দিয়েই ছুটছে গাড়ি। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুজোর আগে ওই গর্তে তাপ্পি দেওয়া হলেও পিচের সেই আস্তরণ উঠে গিয়ে হাড়-কঙ্কাল আবার বেরিয়ে পড়েছে। বহু গাড়ি এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে। স্বাভাবিকভাবেই ধুলোয় ভরে যায় চারপাশ। অবিলম্বে এই রাস্তা মেরামতের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও আশপাশের দোকানদাররা।

    পুজোর আগেই পোস্তার বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভাঙার কাজ শেষ করেছে কেএমডিএ। চারটি ধাপে ভাঙা হয়েছে উড়ালপুলের অবশিষ্ট অংশ। তারপর উড়ালপুলের পিলারের নীচের অংশের রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুজোর আগে জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ হওয়ায় রাস্তার হাল আরও খারাপ হয়েছে। পিচের প্রলেপ উঠে গিয়ে খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। কালীকৃষ্ণ টেগোর স্ট্রিটের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে রাস্তার ছাল-চামড়া উঠে গিয়েছে। গিরিশ পার্ক থেকে ওই রাস্তা দিয়ে প্রচুর যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। আশপাশে রয়েছে একাধিক দোকান, মন্দির, আবাসন। রাস্তার হাল খারাপ হওয়ায় প্রচুর ধুলো উড়ছে, অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় দোকানদার রঘুনাথ সিং বলেন, মাস দুয়েক আগে রাস্তা ঠিক করা হয়েছিল। এরমধ্যেই আবার ভেঙে গিয়েছে। গাড়ি গেলেই ধুলো উড়ে আসে দোকানে। সব সময় তো আর নাকে-মুখে রুমাল চাপা দিয়ে থাকা যায় না।

    সম্প্রতি স্থানীয় কাউন্সিলার মীনাদেবী পুরোহিত বিষয়টি কলকাতা পুরসভার সড়ক বিভাগের নজরে এনেছেন। তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে শুনছি টেন্ডার হবে। আজ করব, কাল করব পুর কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যাচ্ছে। এদিকে, ধুলোর জেরে এলাকার মানুষ টিকতে পারছেন না। অ্যাজমা রোগীদের কষ্ট হচ্ছে বেশি। পুরসভার সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারি প্রক্রিয়ায় খানিকটা সময় লাগে। টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের কাজে হাত দেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)