তৃণমূলের 'বিহারিবাবু'র সঙ্গে বিজেপি-র 'সর্দারজি'র লড়াইয়ে সরগরম আসানসোল শিল্পাঞ্চল। এই কেন্দ্রে রয়েছে পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ, জামুরিয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসনসোল উত্তর, কুলটি, বারাবানি-- এই সাত বিধানসভা।
সাম্প্রতিক কালে আসানসোল কেন্দ্রটি বাবুল সুপ্রিয়ের জন্য আলোচনার কেন্দ্রে উঠেছিল। এখন বাবুল তৃণমূলে হলেও, তখন তিনি ছিলেন বিজেপি-তে। এবারও আসানসোল তরজার তুঙ্গে, কারণ এবার সেটি শত্রুঘ্ন সিনহা (তৃণমূল) ও এস এস অহলুওয়ালিয়া তথা সুরেন্দ্রজিৎ সিংহ অহলুওয়ালিয়ার (বিজেপি) লড়াইক্ষেত্র। এই আসনে সিপিএমের প্রার্থী জাহানারা খান।
এই কেন্দ্রে ভোট ছিল চতুর্থ দফায়, ১৩ মে। এখানে ২০১৪ সালের ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ লক্ষ ৪২ হাজার, ৩৯৫। এরপর এখানকার জনসংখ্যার স্পষ্ট হিসেবে মেলেনি। এবার এখানে ভোট পড়ার শতাংশে হার-- ৭৩.২৭%। এই কেন্দ্রে রয়েছে পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ, জামুরিয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসনসোল উত্তর, কুলটি, বারাবানি-- এই সাত বিধানসভা।
আসনের ইতিহাস
২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদী এখানে এসে বলেছিলেন, 'মুঝে বাবুল চাহিয়ে'। সেটা একটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেইবার। তখনই বোঝা গিয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়ই জিতছেন সেই আসনে। তাই হয়েছিল। বাবুল সুপ্রিয়র হাত ধরে পরপর দুইবার বিজেপি এই আসনে জেতে। পরের বার, ২০১৯ সালে মুনমুন সেনকে প্রায় ২ লাখ ভোটে হারিয়ে জেতেন বাবুল। এর আগে এটা অবশ্য তৃণমূলের সিট ছিল। এখানে জিততেন মলয় ঘটক। কিন্তু ১৯৫৭-৬২ এবং ১৯৬২ থেকে ৬৭ সাল সময়পর্বে এখানে ছিলেন কংগ্রেসের মনমোহন দাস, অতুল্য ঘোষ। এরপর আসনটি দখল করেন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির দেবেন সেন। ৭০ ও ৮০-র দশকে বামদলের রবিন সেন এখানে সাংসদ ছিলেন। আসনটিতে তারপর আবার কংগ্রেস ও তারপরে আবার সিপিএম ফিরে আসে। ২০১৪ সালে এখানে প্রথমবারের জন্য বিজেপি পা রাখে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ---
আসানসোলে গত ভোটে জয়ী বিজেপি। ব্যবধান ছিল ১,৯৭,৬৩৭। বাবুল সুপ্রিয় পান ৬ লক্ষ ৩৩ ৩৭৮ ভোট। মুনমুন সেন পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৪১ টি ভোট। সিপিএমের গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় পান মাত্র ৮৭ হাজার ৬০৮টি ভোট।