• প্রথম রাউন্ডশেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে ১৩৬৯৫ ভোটে
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ জুন ২০২৪
  • সিপিএমের দীপ্সিতা ধর এবার তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি। কল্যাণ তাঁর আক্রমণাত্মক ভঙ্গির জন্য বিখ্যাত। তবে এবার চোখে পড়ার মতো বিষয় হয়ে থেকেছে দীপ্সিতার পাল্টা। শ্রীরামপুর লোকসভা আসন এই দুই প্রার্থীর প্রচার- পাল্টা প্রচার বাদ-প্রতিবাদ, বাক-বিতণ্ডায় সরগরম থেকেছে প্রথম থেকেই।

    তৃণমূল -- কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
    সিপিএম-- দীপ্সিতা ধর

    এই কেন্দ্রে ভোট ছিল পঞ্চম দফায়, ২০ মে।  

    শ্রীরামপুর লোকসভায় রয়েছে জগৎবল্লভপুর, ডোমজুর, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপদানি, চণ্ডীতলা, জাঙ্গিপাড়া নিয়ে শ্রীরামপুর লোকসভা। এই আসনে এবার ভোট পড়েছে ৭৬.৪৪ শতাংশ। 

    শ্রীরামপুর আসনটি খুব বিশিষ্ট। এটি মূলত শিল্পাঞ্চল, কিন্তু এর এই শিল্প-এলাকার 'হিন্টারল্যান্ড' বা পশ্চাদভূমিতে রয়েছে কৃষির প্রভাব। শিল্প ও কৃষির আশ্চর্য মিশেলে কেন্দ্রটির বাসিন্দা তথা ভোটারও খুব বিচিত্রধর্মী। আবার ভাষার দিক থেকেও আসনটি খুব বিচিত্র। এখানে রাজস্থান বিহার ও উত্তর প্রদেশের বাসিন্দারাও বিপুল সংখ্যায় থাকেন। এখানে ২৫ শতাংশই নন-বেঙ্গলি। আসনের এই সার্বিক বিচিত্রতাকে মোকাবিলা করেই এখানে ভোটে লড়তে হয়। কাজটা কঠিন। আর সেই কঠিন কাজটা দীর্ঘ সময় জুড়ে এখানে করে আসছেন তৃণমূলের কল্যাণ। আশির দশকের গোড়া থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত শ্রীরামপুর লোকসভা থেকে কোনও রাজনৈতিক দলই দু’বারের বেশি জিততে পারেনি। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল, টানা তিন বার জিতে সেই নজির যদিও ভেঙে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার লোকসভা ভোটে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের দীপ্সিতা এবং বিজেপির কবীরশঙ্কর বসু।১৯৫১ সালে এখানে জিতেছিলেন সিপিএমের তুষারকান্তি চট্টোপাধ্যায়। এর পরের বারই জেতে কংগ্রেস। এই সিটটিতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই দুটি দলই ঘুরে ফিরে জেতে। প্রথমবার সেই চাকা ঘোরান তৃণমূলের আকবর আলি খোন্দকার। ২০০৪ সালে তিনি হারেন সিপিএমের শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তারপর ২০০৯ সালে কল্যাণ। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল --- শ্রীরামপুরে গত ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭০৭ ভোট। বিজেপির দেবজিৎ সরকার হয়েছিলেন দ্বিতীয়। তিনি পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ১৭১ টি ভোট।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)