একদিকে দুই তরুণ তো অন্যদিকে অভিজ্ঞ প্রাক্তন বিচারক। লড়াই জমজমাট তমলুকে। বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। আরেক প্রতিপক্ষ সিপিআইএমের প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই তাঁদের ভাগ্য পরীক্ষা।
সাত দফা ভোটের ষষ্ঠ দফায় ভোট হয় তমলুকে। ভোট হয় ২৫ মে তারিখে। মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৩৪ জন। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা হল- তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া (তফসিলি জাতি),নন্দীগ্রাম। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই কেন্দ্রে তফশিলি জাতি ভোটার ১৪.০১ শতাংশ। তফশিলি উপজাতি ভোটার ০.২০ শতাংশ ও মুসলিম ভোটার ১৬.৯০ শতাংশ। এই কেন্দ্রে শিক্ষার হার ৭৬.৯৯ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি নিয়ে এই লোকসভা কেন্দ্রটি গঠিত হয়েছে। লোকসভা ভোটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বাংলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্র। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিন বারের সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে পরাজিত করে এই কেন্দ্রে সবুজ ঝড় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। এরপর দল বদলেছেন তিনি। এখন তিনি এই রাজ্যে বিজেপির ভোটের সৈনিক। শুভেন্দুর পর ২০১৯ সালে ওই কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোটে লড়ে সংসদে যান তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তবে পরবর্তীতে তিনিও দলবদলে চলে যান বিজেপিতে।
২০১৯ সালের নির্বাচনে তমলুক একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ের সাক্ষী ছিল। ভোটের হার ছিল ৮৫.৩২%৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী ১,৯০,১৬৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন, ভোট পেয়েছেন ৭,২৪,৪৩৩৷ দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপির সিদ্ধার্থশঙ্কর নস্করকে পরাজিত করেছেন, যিনি ভোট পেয়েছিলেন ৫,৩৪,২৬৮।